ডাকাত আতঙ্কে ভুগছে সাতক্ষীরা শহরবাসী। জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে তারা পাড়ায়-পাড়ায় পাহারা দিচ্ছেন। শহরের মুনজিতপুর যুব সংঘের সদস্যরা বাঁশি ও লাঠি হাতে নিয়ে রাতভর পাহারা দিচ্ছেন বলে জানান। ইতিমধ্যে দেশি অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে শহরের এক বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে বলেও জানান তারা।
গত ৫ আগস্ট বৈষমম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তন ঘটে। সেই সুযোগে একদল সুযোগ সন্ধানি দুস্কৃতিকারী শহর গ্রামের বিভিন্ন স্থানের অফিস, বাড়ি, ব্যবসা ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা করে লুটপাট করছে বলে অভিযোগ উঠছে। এ ঘটনার শিকার হয়েছে সাতক্ষীরা শহরের মুনজিতপুর এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ কেরামত আলীর ছেলে মো. ইনছার আলী। তিনি পেশায় একজন কাঠমিস্ত্রী।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, গত ১২ আগস্ট রাত ৯টায় বাড়িটি ছিল পুরুষশূন্য। ইনছার আলীর স্ত্রী মনোয়ারা খাতুন জানান, আমি বাথরুম থেকে ঘরে প্রবেশ করতে আকষ্মিকভাবে মুখে কালো কাপড় বাঁধা কালো পোশাক পরিহিত ৩জন যুবক আমার গলায় ছুরি ধরে এবং তারা বলতে থাকে টাকা পয়সা যা কিছু আছে বের করে দে। আমি তাদেরকে বলি আমরা গরিব মানুষ ফার্নিচার কাঠমিস্ত্রির কাজ করে খাই। আমাদের টাকা পয়সা নেই। তখন তারা বলে টাকা না দিলে তোকে জবাই করে দেব। এসময় গলায় অস্ত্র ধরে জবাই করতে উদ্যত হয়। তখন আমি জীবন বাঁচাতে মৃত্যুর ভয়ে বলি আমাদের অনেক কষ্টের জমানো কিছু টাকা বিছানার তষকের নিচে আছে। সেখানে রক্ষিত ১০ হাজার টাকা ছিল। সেটা নিয়ে তারা চলে যাওয়ার সময় বলে চিল্লাচিল্লি করলে ফিরে এসে জবাই করে দিয়ে যাব। এ ব্যাপারে ইনছার আলীর স্ত্রী মনোয়ারা খাতুন সাতক্ষীরা সেনা ক্যাম্পে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানান।
স্থানীয় শেখ আহসানুল্লাহ বলেন, ইনছার আলীর বাড়ি ডাকাতি হয়েছে বলে শুনেছি। আমরা ভীষণ আতঙ্কের ভিতরে রয়েছি। সকলেই সজাগ থাকুন এবং প্রতিরোধ গড়ে তুলুন।
ইনছার আলীর ভাই এসএম মহব্বত হোসেন বলেন, আমার ৬৫ বছর বয়সে মুজিতপুর এলাকায় এ ধরনের জঘন্য কাজ হতে দেখেনি। এর সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচারের দাবি জানাচ্ছি। সেই থেকে এলাকাবাসী ডাকাত আতঙ্কে রাতে ঘুমাতে পারছেন না।
এদিকে এলাকায় পাহারা ও পুলিশ প্রশাসনের কার্যক্রম না থাকায় মুনজিতপুর যুব সংঘ আব্দুল্লাহ’র নেতৃত্বে প্রায় ৪৫ জন যুবক বাঁশি ও লাঠি হাতে প্রতি রাতে পাড়ায়-পাড়ায় পাহারা দিচ্ছেন বলে জানান।
খুলনা গেজেট/এএজে