ট্রেনে ঈদযাত্রার আগাম টিকিট বিক্রি শুরু হবে আগামী ২৩ এপ্রিল থেকে। প্রথম দিনে বিক্রি হবে ২৭ এপ্রিলের টিকিট। ২৪ এপ্রিল ২৮ এপ্রিলের, ২৫ এপ্রিল ২৯ এপ্রিলের, ২৬ এপ্রিল ৩০ এপ্রিলের এবং ২৭ এপ্রিল ১ মে’র ট্রেনের টিকিট বিক্রি করা হবে। ঈদের পর ফিরতি যাত্রা হবে ৫ মে। সেই টিকিট বিক্রি হবে ১ মে।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ২ মে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে ধরে নিয়ে টিকিট বিক্রির এই সময়সূচি নির্ধারণ করেছে রেলওয়ে। রোজা ৩০টি হলে অর্থাৎ ৩ মে ঈদ হলে ২৮ এপ্রিল দেওয়া হবে ২ মে’র ট্রেনের টিকিট।
পাঁচ দিন আগে আগাম টিকিট বিক্রি : গত দুই বছর করোনার কারণে ঈদুল ফিতরের সময় ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। দুই বছর পর ঈদযাত্রা ফিরছে ট্রেনে। তবে এবার আগে মতো ১০ দিন আগে নয়, স্বাভাবিক সময়ের মতোই পাঁচ দিন আগে আগাম টিকিট বিক্রি হবে। ঈদযাত্রার বিক্রিত টিকিট ফেরতে নেবে না রেল।
সোমবার রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজনের সভাপতিত্বে ঈদযাত্রার প্রস্তুতির অংশ হিসেবে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা হবে। সভার কার্যপত্র অনুযায়ী, এবারের ঈদযাত্রায় নিয়মিত ১০২টি আন্তঃনগর ট্রেনের সঙ্গে স্পেশাল ছয় জোড়া ট্রেন চলবে। ঈদের আগে ঢাকা-কলকতা রুটের মৈত্রী এক্সপ্রেস চালু না হলে, তার ইঞ্জিন বগি দিয়ে ‘খুলনা স্পেশাল’ নামে ঢাকা-খুলনা রুটে একটি বাড়তি ট্রেন চালানো হবে। ঈদের দিন শোলাকিয়া স্পেশাল নামে এক জোড়া ট্রেন চলবে।
সকাল ৮টা থেকে কাউন্টারে, অনলাইনে টিকিট ৬টা থেকে : ঈদের সময় যাত্রী পরিবহন সক্ষমতা বাড়াতে ৯৩টি অতিরিক্ত বগি যুক্ত হবে রেলের বহরে। সকাল আটটা থেকে কাউন্টারে টিকিট বিক্রি হবে। অনলাইনে টিকিট দেওয়া হবে সকাল ছয়টা থেকে। কমলাপুর স্টেশনে ২৩টি কাউন্টারে টিকিট বিক্রি হবে। একটি কাউন্টার থাকবে নারীদের জন্য সংরক্ষিত।
২৫ এপ্রিল থেকে সব ট্রেনের সাপ্তাহিক ছুটি বন্ধ থাকবে। ঈদযাত্রায় টিকিট কালোবাজারি ঠেকাতে স্টেশনে টহল ও নজরদাবি থাকবে।