কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে তিন দিন চিকিৎসা নেয়ার পর হাসপাতাল ছেড়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শিগগিরই নির্বাচনী প্রচারণায় ফেরার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন তিনি। প্রেসিডেন্সিয়াল হেলিকপ্টার মেরিন ওয়ানে চেপে হোয়াইট হাউসে ফেরার আগমুহূর্তে ট্রাম্প টুইটারে লেখেন, ‘বেশ ভালো বোধ করছি।’
ট্রাম্প আরো লেখেন, ‘করোনাকে ভয় করবেন না, এটা যেন আপনার জীবনকে প্রভাবিত বা নিয়ন্ত্রণ না করতে পারে।’
স্যুট টাই ও মাস্ক পরিহিত অবস্থায় স্থানীয় সময় সোমবার সন্ধ্যায় ওয়াশিংটন ডিসির উপশহরীয় ওয়াল্টার রিড ন্যাশনাল মিলিটারি মেডিকেল সেন্টার ছাড়েন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসের বারান্দায় ছবি তোলার জন্য দাঁড়িয়ে মাস্ক খুলে ফেলেন তিনি। এ নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। সিএনএন অনলাইনের এক প্রতিবেদনের শিরোনামে বলা হয়, দুই লাখ ১০ হাজার মৃত্যুর পরও বাজেভাবে নিজের অসুস্থতাকে অবহেলা করলেন ট্রাম্প।
আপনি করোনা সুপার স্প্রেডার কি না? এক সাংবাদিকের এমন প্রশ্ন এড়িয়ে যান ট্রাম্প।
বিবিসি জানায়, যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ৭৪ লাখ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে প্রায় দুই লাখ ১০ হাজার মানুষের। দেশে এত মৃত্যুর মধ্যে নিজে আক্রান্ত হওয়ার পরও করোনা নিয়ে ট্রাম্পের উদাসীনতা বেশ পরিষ্কার। হোয়াইট হাউসেও যে কী পরিমাণ সংক্রমণ ছড়িয়েছে তা স্পষ্ট নয় বলে বিবিসির খবরে বলা হয়েছে।
হোয়াইট হাউসের ঠিক কতজন আক্রান্ত হয়েছেন সে খবর না মিললেও ট্রাম্পের নিকটজনদের মধ্যে শীর্ষস্থানীয় পর্যায়ের বেশকয়েকজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সর্বশেষ সোমবার সকালে প্রেস সেক্রেটারি কেইলি ম্যাকএনানির করোনা শনাক্ত হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিশেষ সহকারী হোপ হিকসের করোনা শনাক্তের পর গত শুক্রবার কোভিড-১৯ পজিটিভ আসে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পের। ২৬ অক্টোবর হোয়াইট হাউসের রোজ গার্ডেনে সদ্য নিযুক্ত সুপ্রিম কোর্টের বিচারককে দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানকে সংক্রমণের সবচেয়ে মোক্ষম ক্ষেত্র ধরা হচ্ছে। ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এ পর্যন্ত ট্রাম্পের নিকটবর্তী এমন ১২ জনের করোনা পজিটিভ এসেছে। এর মধ্যে উপদেষ্টা, সিনেটর ও সাংবাদিক রয়েছেন।
খুলনা গেজেট/এআইএন