জাতীয় ফুটবল দলে শিরোপা খরা দীর্ঘদিনের। ২০০৩ সালে সর্বশেষ সাফ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ। ২০১০ সালে এসএ গেমস জিতলেও সেটা মূলত অলিম্পিক দল। ওই বছরই কলম্বোতে বিচ ফুটবল জিতেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু বিচ ফুটবল মূল ধারার ফুটবল নয়। ২০১৫ সালে শেষ বারের মতো ফাইনালে মঞ্চে উঠেছিল বাংলাদেশ। নিজেদের মাটিতে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে রানার্স আপ হয়েছিল সেবার।
নেপালে চলমান ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টে ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ফাইনালে উঠেছে। শনিবার (২৭ মার্চ) নেপালের বিরুদ্ধে ম্যাচটি বাংলাদেশের জন্য তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়। জয়-হারে ফিফা র্যাংকিংয়ে প্রভাব পড়বে, তবে এ নিয়ে ভাবছেন না অধিনায়ক জামাল। তিনি বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে ফাইনালে উঠেছি। এরপরও প্রতিটি ম্যাচ গুরুত্বপূর্ণ। সবাই কালকের ম্যাচে জয়ের জন্যই নামবে। এরপরও ফাইনাল ম্যাচটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’
ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টের ফাইনাল ছাড়াও জাতির জন্য ট্রফি কেন প্রয়োজন সেটাও ব্যাখ্যা দিয়েছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক, ‘বাংলাদেশ স্বাধীনতার ৫০ বছর পালন করছে। দেশের সবাই আমাদের ওপর প্রত্যাশা অনেক। আশা করি আমরা ফাইনালে জিতে ট্রফি দেশে নিয়ে যেতে পারব।’
জামাল ভূঁইয়াদের অনুপ্রেরণা দিতে শনিবার বিকেলে আর্মি গ্রাউন্ডে মাঠে গিয়েছিলেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। সালাহউদ্দিনের সঙ্গে বাফুফের অন্য কর্মকর্তারাও ছিলেন। ফুটবলারদের অনুশীলন শেষে সালাউদ্দিন কোচ ও ফুটবলারদের সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বলেন। তিনি চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন বলে জানিয়েছেন টিমের সব ফুটবলাররা। জামাল ভূঁইয়া প্রথম ম্যাচে একাদশে ছিলেন না। আগামীকালকের ম্যাচে একাদশে থাকবেন কি না এখনও নিশ্চিত নয়।