করোনায় অলিম্পিক পিছিয়েই গিয়েছিল এক বছর। এবারও যে হবে তা নিয়ে ছিল নানা অনিশ্চয়তা। শেষ অবধি পর্দা উঠলো ‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থের’ এবারের আসরের। জাপানের টোকিওতে শুক্রবার বিকেলে দর্শকহীন গ্যালারির সামনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। দর্শক ছাড়া উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ‘অলিম্পিক লরেল’ নামের বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশের নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে। অ্যাথলেটদের প্যারেড শুরুর আগে ভার্চ্যুয়ালি তাকে এই সম্মাননা দেওয়া হয়। পাঁচ বছর আগে প্রথমবার এই সম্মাননা দেওয়া শুরু করে আইওসি।
অলিম্পিকে অংশ নেয়া অ্যাথলেটরাও চালিয়েছেন একক অনুশীলন। টোকিও অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শুরুতেই প্রতীকীভাবে ফুটিয়ে তোলা হলো সে দৃশ্য। জাপানের নার্স ও বক্সার তাসুবাদা মঞ্চের মাঝখানে গিয়ে একাই দৌড়ান বেশ কিছুক্ষণ। মার্চপাস্টে বাংলাদেশের পতাকা বহন করেন সাঁতারু আরিফুল ইসলাম। আরিফুলসহ বাংলাদেশ থেকে ছয়জন অ্যাথলেট অংশ নিচ্ছেন এবারের আসরে। এদের মধ্যে কেবল আরচার রোমান সানা অংশ নিচ্ছেন নিজের যোগ্যতায়। বাকিরা খেলছেন ওয়াইল্ড কার্ডে।
করোনার কারণে কঠোর নিয়ম এবং স্বাস্থ্যবিধি তৈরি করা হয়েছে। সব মিলিয়ে পুরো অলিম্পিক আসরটাই শুরুর আগে অনেকটা ফ্যাকাশে হয়ে গেছে। অলিম্পিকে অংশগ্রহণকারী অ্যাথলেটের সংখ্যা ১১ হাজার প্লাস। নিয়মানুযায়ী প্রতিটি দেশের অ্যাথলেটরাই মার্চপাস্টে অংশগ্রহণ করেন। জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের এটা ছিল অন্যতম আকর্ষণ। কিন্তু এবার এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের জন্য বেশকিছু গাইডলাইন তৈরি করেছে আয়োজকরা। অলিম্পিক প্যারেডের সময় অ্যাথলেটদের উপস্থিতি করা হয় ঐচ্ছিক। কর্মকর্তাদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৬ জন উপস্থিত ছিলেন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন জাপানের রাজা নারুহিতো। কিছু বিশেষ অতিথি উপস্থিত ছিলেন মঞ্চে। এবারের অলিম্পিকে ৩৩টি খেলার ৫০টি ডিসিপ্লিনে ৩৩৯টি ইভেন্ট তথা স্বর্ণপদকের জন্য লড়বেন প্রায় ২০৫টি দেশের ১১ হাজার ৩২৪ জন ক্রীড়াবিদ।
খুলনা গেজেট/ টি আই