পুলিশ বলছে, তারা দুজনই শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী। তাদের বিরুদ্ধে থানায় মাদক মামলা রয়েছে। এ ঘটনায় ৫টি দেশীয় তৈরি এলজি, ইয়াবা বিক্রির ১০ লাখ নগদ টাকা, ১৭ রাউন্ড কার্তুজ, ১৩ রাউন্ড কার্তুজের খোসা এবং ৪০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহতরা হলেন নিহত ইউপি সদস্য উখিয়ার কুতুপালংয়ের মৃত কালা মিয়ার ছেলে মৌলভী বখতিয়ার (৫৫) ওরফে বখতিয়ার উদ্দিন মেম্বার ও একই এলাকার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ইউছুপ আলীর ছেলে রোহিঙ্গা মো. তাহের (২৭)। নিহত বখতিয়ার মেম্বার উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য ছিলেন। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, রাতে টেকনাফের হ্নীলার ওয়াব্রাংয়ে অভিযান চালিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা মো. ইউনুছকে ২০ হাজার ইয়াবাসহ আটক করে।
তার স্বীকারোক্তিতে পুলিশ উখিয়ার কুতুপালং ই ব্লকের ইউচুপ আলীর ছেলে ও স্থলবন্দর ব্যবসায়ী রোহিঙ্গা মো. তাহেরকে আটক করে। তার ভাষ্যমতে, উদ্ধার ইয়াবার প্রকৃত মালিক উখিয়া কুতুপালংয়ের ৯ নম্বার ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মৌলভী বখতিয়ার (৫৫) ওরফে বখতিয়ার উদ্দিন মেম্বারের বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে। এসময় বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ইয়াবার বিক্রির নগদ ১০ লাখ টাকা এবং ২০ হাজার ইয়াবাসহ তাকে আটক করা হয়। শুক্রবার ভোরে তাদের নিয়ে মিয়ানমার থেকে আনা হ্নীলার ওয়াব্রাংয়ে আকাশী গাছের বাগানে ইয়াবা ও অস্ত্র উদ্ধারে গেলে তাদের সহযোগী ইয়াবা ব্যবসায়ীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করে। এসময় এএসআই মাজহারুল ইসলাম, কনস্টেবল মো. শহিদুল ইসলাম, মো. হাবিব এবং আবু হানিফ আহত হয়। আত্মরক্ষার্থে পুলিশ পাল্টা গুলি করে। পরে অস্ত্রধারীরা পালিয়ে গেলে সেখানে মো. ইউনুছ সুস্থ থাকলেও, ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ মাদক ব্যবসায়ী ওই দুজনকে উদ্ধার করে টেকনাফ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের কক্সবাজার প্রেরণ করেন। পরে সেখানকার চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মো. নাসিম বলেন, রাতে পুলিশ সদস্যরা তিনজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। দুজনের শরীরের বিভিন্ন অংশে গুলির চিহ্ন দেখা গেছে। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কক্সবাজারে পাঠানো হয়। আহত চার পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
ওসি প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, মাদকবিরোধী অভিযানে গোলাগুলিতে মাদক ব্যবসায়ী ইউপি সদস্যসহ দুজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় পাচঁ পুলিশ সদস্য আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে ইয়াবা, অস্ত্রসহ গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। এই বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়া চলছে।
আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের (২৪ জুলাই) ভোর পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ৫৬ জন নিহত হয়েছে। তার মধ্যে ২৬ জন সক্রিয় ডাকাত ছিল। বাকিরা মাদক কারবারি।