টি-টোয়েন্টিতে ১০০ উইকেটের জন্য প্রয়োজন ছিল মাত্র ২টি উইকেট। আজ সেটি পূরণ করলেন পরপর দুটি উইকেট নিয়ে। ৯৯ থেকে ১০০ উইকেটে যেতে বেশীক্ষণ সময় নিলেন না সাকিব আল হাসান।
অফস্টাম্পের বাইরে পড়া বলটা বেরিয়ে যাচ্ছিল টার্ন করে। সেটিতেই ব্যাট চালিয়েছিলেন অ্যাশটন টার্নার। কাভারে মাহমুদউল্লাহর হাতে ধরা পড়েছেন তিনি। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সাকিবের এটি শততম উইকেট।
বিশ্বে মাত্র দ্বিতীয় বোলার হিসেবে এ কীর্তি হল সাকিবের। আপাতত সাকিবের ওপরে আছেন শুধু লাসিথ মালিঙ্গা। শ্রীলঙ্কা পেসারের টি-টোয়েন্টি উইকেট ১০৭টি।
এছাড়া এ ফরম্যাটে ব্যাটিংয়ে এক হাজার রান ও একশ উইকেট নেওয়ার অনন্য কীর্তি গড়েছেন তিনি। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে এমন রেকর্ড নেই অন্য কোনো ক্রিকেটারের।
মিরপুরের চিনচেনা উইকেটে অসাধারণ কীর্তি গড়তে সাকিবের প্রয়োজন ছিল ৫ উইকেটের। ৯৫ উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়া সিরিজ শুরু করেছিলেন সাকিব। প্রথম তিন ম্যাচে সাকিব একটি করে উইকেট পেয়েছিলেন। চতুর্থ ম্যাচে ছিলেন উইকেটশূন্য। আজ শেষ ম্যাচে নিজের প্রথম ওভারে পেয়ে যান ম্যাথু ওয়েডের উইকেট। তার শর্ট বল পুল করতে গিয়ে বোল্ড হন। তৃতীয় ওভারে বাঁহাতি স্পিনার পৌঁছে যান মাইলফলকে। অ্যাস্টান টার্নার কভারে মাহমুদউল্লাহর হাতে ক্যাচ দেন। এদিন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি উইকেট নিয়েছেন সাকিব।
৮৪ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে সাকিবের রান ১৭১৮। বল হাতে উইকেট পেয়েছেন ১০২টি। অসাধারণ ডাবলে সাকিব ভাস্বর হলেন মিরপুর শের-ই-বাংলায়। তবে এ ফরম্যাটে উইকেট শিকারির তালিকায় সাকিব রয়েছেন দুই নম্বরে। ১০৭ উইকেট নিয়ে মালিঙ্গা সবার উপরে। পরের জায়গায় রয়েছেন বাংলাদেশের সুপারস্টার। ৯৯ উইকেট নিয়ে টিম সাউদি রয়েছেন তিনে। শহিদ আফ্রিদির উইকেট ৯৮টি। ৯৫ উইকেট নিয়ে রশিদ খান রয়েছেন পাঁচে।
পুরুষ ও নারীদের ক্রিকেট মিলিয়ে টি-টোয়েন্টিতে অসাধারণ এ ডাবলের কীর্তি গড়েছেন অস্ট্রেলিয়ার এলিস পেরি। ২০১৯ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে ৪৭ রানের ইনিংস খেলার পর এলিট ক্লাবে প্রবেশ করেন পেরি। এর আগে ২০১৮ সালের নভেম্বরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে নিউ জিল্যান্ডের ন্যাট সেভিয়ারের উইকেট নিয়ে উইকেটের সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছিলেন।