আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে চতুর্থ বাংলাদেশি হিসেবে পাঁচ উইকেট শিকার করলেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। এর আগে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ইলিয়াস সানি, সাকিব আল হাসান ও মোস্তাফিজুর রহমান ম্যাচে পাঁচ উইকেট পাওয়ার কীর্তি গড়েছিলেন। মোসাদ্দেক তার পাঁচ উইকেটের যাত্রা শুরু করেছিলেন রেজি চাকাভাকে দিয়ে আর শেষ করেছেন মিল্টন শুম্বাকে বিদায় করে।
তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে বাংলাদেশ লড়াই করার পরও ১৭ রানে পরাজিত হয়। দ্বিতীয় ম্যাচে টস ভাগ্য বাংলাদেশের বিপক্ষে যায়। টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে মোসাদ্দেকের ঘূর্ণিতে পড়ে স্বাগতিক জিম্বাবুয়ে।
মোসাদ্দেক তার প্রথম ওভারেই তুলে নেন দুই উইকেট। স্কোরবোর্ডে কোনও রান যোগ করার আগেই রেজি চাকাভাকে সোহানের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান তিনি। মোসাদ্দেকের অফ স্টাম্পের বাহিরের বল খেলতে গিয়ে আউটসাইড এজের শিকার হয়ে সোহানের হাতে ধরা পড়েন তিনি। এ নিয়ে টি-টোয়েন্টিতে সপ্তমবারের মতো প্রথম বলেই উইকেট পেল বাংলাদেশ।
প্রথম ওভারের শেষ বলে এবার মোসাদ্দেকের শিকার আগের ম্যাচে দুর্দান্ত খেলে অর্ধশত হাঁকানো ব্যাটার ওয়েসলি মাধেভেরে। অফ স্টাম্পের বাইরের বল খেলতে গিয়ে ব্যাটে লাগিয়েছিলেন তবে সোজা ক্যাচ চলে যায় কাভারে।
নিজের দ্বিতীয় ও দলের তৃতীয় ওভারে মোসাদ্দেকের জিম্বাবুয়ের আরেকটি উইকেট তুলে নেন। এবার তার শিকার জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন। অফ স্টাম্প ঘেঁষা লাইনের বলে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে টাইমিং করতে না পারায় গ্লাভসে লেগে বল স্লিপে চলে যায় সেখানে থাকা লিটন কোন প্রকার ঝামেলা ছাড়াই ক্যাচ লুফে নেন। এটি ছিল ম্যাচে মোসাদ্দেকের তৃতীয় উইকেট।
এরপর ইনিংসের পঞ্চম ও নিজের তৃতীয় ওভার করতে এসে এ অফ স্পিনারের শিকার শন উইলিয়ামস। মোসাদ্দেককের ওপর আক্রমণাত্মক হতে গিয়ে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে এসে তার বল উড়িয়ে মারতে গিয়ে ফিরতি ক্যাচ দেন উইলিয়ামস। ৩ ওভার শেষে মোসাদ্দেক ১৪ রান দিয়ে তার ঝুলিতে তুলে নেন ৪ উইকেট। টি-টোয়েন্টিতে এটিই তার সেরা বোলিং ফিগার। এর আগের সেরা ছিল ২১ রানে ২ উইকেট।
ইনিংসের সপ্তম ও নিজের শেষ ওভারে এসে পঞ্চম উইকেটের দেখা পান মোসাদ্দেক। এবার তার শিকার মিল্টন শুম্বা। তার করা ডেলিভারিকে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে মিডউইকেটে হাসান মাহমুদের হাতে ক্যাচ তুলে দেন শুম্বা। এতে করে মোসাদ্দেক শুধু নিজের নয় বাংলাদেশের হয়েও এদিন একটি রেকর্ড গড়েন। বাংলাদেশের কোনো ডানহাতি স্পিনারের জন্য টি-টোয়েন্টিতে এখন পর্যন্ত এটিই সেরা বোলিং। এর আগের রেকর্ডটি ছিল মাহমুদউল্লাহর ১০ রানে ৩ উইকেট।
খুলনা গেজেট/এমএম