বাংলাদেশ দলের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক এখন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। চলমান বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে রিয়াদ নেতৃত্ব দিচ্ছেন জেমকন খুলনাকে। এই ফরম্যাটে জাতীয় দলের অধিনায়ক বলে রিয়াদকে পরখ করতে হচ্ছে অন্যদের পারফরম্যান্সও।
গেল ফেব্রুয়ারিতে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জিতেছে বাংলাদেশ। সেই দলের ক্রিকেটাররা এখন ঘরোয়া ক্রিকেটে সিনিয়রদের সাথেই খেলছেন। স্বস্তির বিষয় হল- সিনিয়রদের মাঝখানেও নিজেদের সফলভাবে মেলে ধরতে সক্ষম হচ্ছেন তারা।
টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক হিসেবে বিষয়টি স্বস্তি দিচ্ছে রিয়াদকেও। ফাইনালের আগে গণমাধ্যমে আলাপকালে রিয়াদ তাই মুগ্ধতা লুকাতে পারেননি। তার মতে, দেশের ক্রিকেটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাড়াবে যুবাদের পারফরম্যান্স।
তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় সবমিলিয়ে টুর্নামেন্টটি খুবই ভালো হয়েছে, খুব ভালো ক্রিকেট খেলা হয়েছে। বিশেষ করে আমি মুগ্ধ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্রিকেটারদের নিয়ে। তারা যেভাবে পারফর্ম করেছে, সাহসী এবং দায়িত্বশীল ব্যাটিং করেছে। তাদের বোলিং, ফিল্ডিং… সব মিলিয়ে পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে দুর্দান্ত। আমার মনে হয় এটা আমাদের সবার জন্যও খুব ভালো একটা প্রতিযোগিতা তৈরি করবে।’
অনূর্ধ্ব-১৯ দল থেকে উঠে এসে যারা এবার ভালো করলেন, তারাই হবেন জাতীয় দলের ভবিষ্যৎ কাণ্ডারি। রিয়াদের প্রত্যাশা, এই টুর্নামেন্টের পারফরম্যান্সে উপকৃত হবে দেশের ক্রিকেট।
তিনি বলেন ‘যারা ভালো পারফর্ম করবে তারাই সেটআপে আসার দাবিদার। তাদের যে সাহসী খেলা ছিলো এই টুর্নামেন্টে, এটা খুব অনুপ্রেরণাদায়ক। আমার মনে হয় এই জিনিসটা সবাইকেই খুব উৎসাহ দিয়েছে। সুস্থ প্রতিযোগীতা নিয়ে যদি আমরা ক্রিকেট খেলতে পারি তা সবার ক্রিকেটের উন্নতির জন্য প্রভাব রাখবে।’