ঈদের দিন গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে নেপালের মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ। আগে ব্যাটিং করে নেপালের সামনে লো স্কোরিং লক্ষ্যমাত্রা দাঁড় করায় তারা। কিন্তু বোলারদের কল্যাণে এ ম্যাচে ২১ রানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে। সেই সঙ্গে সুপার এইটও নিশ্চিত করে। যেখানে আগে থেকেই তাদের জন্য অপেক্ষা করছিল ভারত, আফগানিস্তান ও অস্ট্রেলিয়ার মতো দল।
সুপার এইটে এমন শক্তিশালী দল পাওয়ায় ভক্তকূলের জিজ্ঞাসা ব্যর্থ ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে আর কতদূর যাবে টাইগাররা। গ্রুপ পর্বের প্রতিটি ম্যাচেই ব্যর্থ ছিল বাংলাদেশের টপ অর্ডার। গ্রুপ পর্বের ম্যাচ শেষে এখন পর্যন্ত কোনো টাইগার ব্যাটার ১০০ রান করতে পারেননি। সর্বোচ্চ রান তাওহিদ হৃদয়ের তাও সেটি ৯৫ রান। এই রান করতে তিনি ১২৫ স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করেছেন।
তবে এবারের আসরে আশাজাগানিয়া দিক হলো টাইগার বোলারদের জ্বলে ওঠা। শীর্ষ উইকেট শিকারিতে বাজিমাত করেছেন টাইগার পেসাররা। শীর্ষ পাঁচে জায়গা করে নিয়েছেন তানজিম হাসান সাকিব। তিনি ৪ ম্যাচে ৪.৮০ ইকোনমিতে তুলে নিয়েছেন ৯টি উইকেট। শীর্ষ দশে জায়গা পেয়েছেন বাঁহাতি টাইগার পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। তিনি ৪ ম্যাচে ৩.৩৭ ইকোনমিতে তুলে নিয়েছেন ৭ উইকেট। তবে ৭ উইকেট পাওয়ার ক্ষেত্রে আরও রয়েছেন টাইগার লেগ স্পিনার রিশাদ হোসাইন, ৪ ম্যাচে তার ইকোনমি ৬.৮০ এবং টাইগার পেসার তাসকিন আহমেদ। ৪ ম্যাচে তার ইকোনমি ৬.৪৩।
প্রতিটি ম্যাচেই দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বোলাররা। তাই প্রশ্ন এমন ভঙ্গুর ব্যাটিং লাইন আপ নিয়ে জায়ান্ট দলগুলোর বিপক্ষে কতদূর যাবে বাংলাদেশ? এমন প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে জাতীয় দলের উইকেটরক্ষক ব্যাটার মুশফিকুর রহিম।
সোমবার (১৭ জুন) বগুড়ায় ঈদের জামাত শেষে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মুশফিক বলেন, যতদূর দেখলাম বাংলাদেশ ভালো খেলছে। সেমিফাইনাল পর্যন্ত যেন অন্তত যেতে পারি। আমাদের সেই সামর্থ্য আছে। আমি এই আশা করি এবং দলের জন্য দোয়া করি।
টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরে গেলেও মুশফিক টেস্ট-ওয়ানডে মাতিয়ে যাচ্ছেন। জাতীয় দলের পরবর্তী খেলা নিয়ে মুশফিক জানান, বিশ্বকাপের পর পাকিস্তানের সঙ্গে টেস্ট সিরিজ আছে। ইনশাআল্লাহ সেজন্য প্রস্তুত হচ্ছি। সবাইকে ঈদুল আজহার মোবারক জানাই।
তিনি আরও বলেন, সবাই যার যার পরিবার, আত্মীয়স্বজন ও গরীব মানুষদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন। সবাই যেন সহি সালামতে ও নিরপাদে কুরবানি করেন।
খুলনা গেজেট/এএজে