সাতক্ষীরায় টানা ৬ দিন বন্ধ থাকার পর অবশেষে বুধবার (৭ এপ্রিল) বিকাল ৫ টা থেকে শুরু হয়েছে ভোমরা স্থলবন্দরে পণ্য খালাসের কাজ। এর ফলে কর্মচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে বন্দর ব্যবহারকারীদের মাঝে।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে বিষয়টি নিরসনের জন্য সিএন্ডএফ নেতাসহ বন্দর সংশ্লিষ্টরা আলোচনায় বসেন। আলোচনা ফলপ্রসু হলেও বন্দরের প্রশাসনিক জটিলতার কারনে কিছুটা দেরীতে হলেও আবারও শুরু হয়েছে পণ্য খালাসের কাজ।
এদিকে, ভারতে ঘোজাডাঙ্গা এলাকায় অপেক্ষামান দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা পণ্যবাহি ট্রাক ভোমরা বন্দরে প্রবেশ করতে শুরু করেছে। ব্যবসায়ীরা দু’বার লেবার বিল দিতে রাজী না হওয়ায় গত বৃহস্পতিবার থেকে এ অচল অবস্থার তৈরী হয়েছিল।
ভোমরা স্থলবন্দর সিএন্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান নাসিম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, জেলা প্রশাসকের সাথে ফলপ্রসূ আলোচনা হলেও বন্দরের প্রশাসনিক জটিলতার কারনে পণ্য খালাসে বিলম্ব হওয়ার পর অবশেষে বুধবার বিকাল ৫টা থেকে শুরু হয়েছে সকল প্রকার পণ্য খালাসের কাজ।
তিনি আরো বলেন, ব্যবসায়ীদের দাবী মোতাবেক এখন থেকে লেবার বিল আলাদা করে ঠিকাদারের হাতে না দিয়ে সরকারের নির্ধারিত রাজস্ব দিয়ে ব্যসায়ীরা আলাদা লেবার নিয়ে পণ্য খালাসের কাজ করতে পারবেন।
ভোমরা শুল্ক স্টেশনের সহকারী কমিশনার আমির মাহমুদ জানান, গত কয়েক দিনের অচল অবস্থার কারনে রাজস্ব আদায় থমকে গিয়েছিল এ বন্দরে। স্বাভাবিক অবস্থায় এ বন্দর দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৩ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হতো। তিনি আরো জানান, শুক্রবার বাদে বাকী ৫ দিনে এ বন্দর থেকে সরকার প্রায় ৮ কোটি টাকার রাজস্ব হারিয়েছে।
খুলনা গেজেট/কেএম