করোনার কারণে অস্ট্রেলিয়ায় এ বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপটি হলো না। বরং পিছিয়ে গেল দুই বছর। আগামী বছর অবশ্য ভারতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আছে আগের শিডিউলেই। অর্থাৎ ২০২১ এবং ২০২২-টানা দুই বছর দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।
মানে আগামী কয়েক বছর দলগুলোর ভাবনায় বেশি প্রাধান্য পাবে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটই। টানা দুই বছরে দুটি বিশ্বকাপের জন্য দল সাজাতে হবে, কাজটা তো কঠিনই। তবে বাংলাদেশ দলের হেড কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো এতে ঝামেলার কিছু দেখছেন না। বরং ছোট ফরমেটের জন্য তার দল নিয়ে রয়েছে বিশেষ পরিকল্পনা।
টানা দুই বিশ্বকাপ নিয়ে ডোমিঙ্গো বলেন, ‘আমার মনে হয় না, এটা কঠিন হবে। আমরা অধিনায়কদের সঙ্গে কথা বলেছি, যাতে সাদা বলের ক্রিকেটে ২০-২৫ জনের একটা গ্রুপকে সমর্থন দেয়া যায়। বিশ্বকাপ পর্যন্ত আমরা তাদের ধারাবাহিকভাবে সুযোগ দিয়ে যাব। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের তো আরও এক বছরে মতো আছে। তাই যত তাড়াতাড়ি আমরা টি-টোয়েন্টি খেলা শুরু করতে পারব, ততই আমাদের জন্য ভালো হবে।’
বিশ্বকাপের মতো বড় মঞ্চে অল্প প্রস্তুত খেলোয়াড়দের নিয়ে যেতে নারাজ ডোমিঙ্গো। তার ভাষায়, ‘আমি তো চার-পাঁচ ম্যাচ খেলা ক্রিকেটার নিয়ে বিশ্বকাপে যেতে পারি না। আমি চাই তারা দল হিসেবে ২০ কিংবা ৩০টি ম্যাচ খেলুক। সব দলই এ পরিস্থিতিতে। আমাদের শুধু পরিকল্পনায় কৌশলী হতে হবে। যদি দ্রুত ঘরোয়া ক্রিকেট শুরু করতে পারি, জানুয়ারিতে এখানে ওয়েস্ট ইন্ডিজ আসে। তারপর আরও একটি সফর করতে পারি। মনে হয় প্রস্তুত হতে পারব। যত দ্রুত ছেলেদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরানো যায় আর কি!’
এখন তো কেবল নিজেদের মধ্যে প্রস্তুতি চলছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার আগে ঘরোয়া ক্রিকেটে ফেরাটাই বেশি জরুরী মনে করেন ডোমিঙ্গো। টাইগার কোচ বলেন, ‘প্রীতি ম্যাচ থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যাওয়া তো বড় পদক্ষেপ হয়ে যাবে। তাই আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হবে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলা। এতে করে কাজটা সহজ হবে। জাতীয় দল উপকৃত হবে। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ঘরোয়া ক্রিকেট ফেরানোর চেষ্টা করছে বিসিবি। ছেলেদের জন্য সেটা দারুণ হবে। আমি চাইব, এইচপির ছেলেরাও জাতীয় দলে চাপ তৈরি করুক।’
খুলনা গেজেট/এএমআর