বাগেরহাটের মোংলা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ ইকবাল হোসেনের বিরুদ্ধে নারী কাউন্সিলরের টাকা ছিনতাই, মারধরসহ নানা অভিযোগ উঠেছে। এসব অন্যায়ের বিচার দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী মোংলা পৌরসভার সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর ও বাংলাদেশ আওয়ামী যুব মহিলা লীগের পৌর শাখার সহ-সভাপতি মোসাঃ শিউলি আক্তার।
শনিবার দুপুরে বাগেরহাট প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার (২৭ মে) দুপুরে মোংলা শহরের চৌধুরীর মোড়স্থ ইসলামী ব্যাংক, মোংলা শাখার তৃতীয় তলা থেকে ভাইস চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন আমার স্বামী সোহাগকে টেনে হিচড়ে রাস্তার উপর নিয়ে যায়। সেখানে ইকবালসহ তার সহযোগি মোঃ লিটন, মোঃ মিজান ও মোঃ ইয়াকুব মিলে আমার স্বামী সোহাগকে বেধরক মারপিট করে। আমার স্বামীর কাছে একটি পাটের ব্যাগে থাকা ৭ লক্ষ ১৮ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। আমার স্বামীর ডাক চিৎকার শুনে ইসলামী ব্যাংকে কাজ সেরে আমি নিচে আসলে ইকবাল আমার পড়নের কাপড় ধরিয়া আমাকে রাস্তার উপর টেনে হিচড়ে ফেলে আমার শ্লীলতাহানি ঘটায়। আমার গলায় থাকা ২ ভরি ৪ আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন এবং হাতে থাকা এক ভরি ৯ আনা ওজনের ব্রেসলেট ছিনিয়ে নেয়। যার আনুমানিক মূল্য দুই লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা। মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিৎিসা শেষে ওইদিনই মোংলা থানায় এজাহার দায়ের করি। কিন্তু তিনদিন পার হলেও থানা পুলিশ দৃশ্যমান কোন ব্যবস্থা নেয়নি ইকবাল ও তার ক্যাডারদের বিরুদ্ধে। উল্টো ইকবাল এখন আমাকে জোরপূর্বক মীমাংসার জন্য চাপ দিচ্ছেন। আমি আমার টাকা ও আমাদের মারধরের বিচার চাই।
মোংলা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইকবাল হোসেন বলেন, কাউন্সিলর শিউল আক্তার আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করেছেন তা সত্য নয়। আমাকে রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য একটি পক্ষ এই অপপ্রচার চালাচ্ছে।
খুলনা গেজেট/কেএম