বাগেরহাট জেলার রামপাল উপজেলার সোনাতুনিয়া আমেনা খাতুন নিম্ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের বরখাস্তকৃত সাবেক প্রধান শিক্ষক হাওলাদার সাইদুর রহমানের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেছে বাগেরহাট পিবিআই। মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় বাগেরহাটের পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন এর ইনস্পেক্টর মো. আশরাফুল আলম বিজ্ঞ আমল আদালত -৮ এ প্রতিবেদনটি দাখিল করেন।
জানা গেছে, রামপালের সোনাতুনিয়া আমেনা খাতুন নিম্ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক হাওলাদার সাইদুর রহমান ওই বিদ্যালয়ে কর্মচারী নিয়োগ দানের কথা বলে ৩ জন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীর কাছ থেকে মোট ১৩ লক্ষ টাকা নেন। বিদ্যালয়ের উন্নয়ন কল্পে তিনি ওই টাকা নেন। প্রধান শিক্ষক সাইদুর রহমান ওই বিদ্যালয়ের কর্মচারী মনিরুজ্জামানের কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকা, রাসেল গাজীর কাছ থেকে ৪ লক্ষ টাকা ও শাহীনা খাতুনের কাছ থেকে ৪ লক্ষ টাকা নেন।
যা বিদ্যালয়ের উন্নয়নে ব্যায় করা হবে বলে টাকা নেওয়া হলেও তিনি তা করেননি। ওই টাকা নিয়ে সাইদুর রহমান নিজের পকেটে পুরে আত্মসাৎ করেছেন। এই বিপুল অংকের টাকা কোথায় খরচ করেছেন ? এ সংক্রান্ত কোন তথ্য পিবিআই এর তদন্তে পাওয়া যায়নি। তবে স্ব-স্বীকারোক্তি দিয়ে দুই পাতার একটি খসড়া খরচের তালিকা দিয়েছেন ওই প্রধান শিক্ষক সাইদুর রহমান। এত টাকার খরচ সংক্রান্ত কোন তথ্য প্রমাণ সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের নথি পত্রে পাওয়া যায়নি বলে পিবিআই এর তদন্তে উঠে এসেছে। বিদ্যালয়ের কর্মচারীদের কাছ থেকে ওই বিপুল পরিমাণ টাকা নিয়ে সাইদুর রহমান আত্মসাৎ করেছেন মর্মে পিবিআই এর প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত বরখাস্তকৃত সাবেক প্রধান শিক্ষক সাইদুর রহমান বরাবর অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমি ষড়যন্ত্রের শিকার।
এ বিষয়ে বাগেরহাটের পিবিআই এর ইন্সপেক্টর আশরাফুল আলম এর কাছে জানতে চাইলে অভিযুক্ত সাবেক প্রধান শিক্ষক সাইদুর রহমানের বিরুদ্ধে ১৩ লক্ষ টাকা আত্মসাতের বিষয়টি প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। মঙ্গলবার বিজ্ঞ আদালত -৮ এ প্রতিবেদন দাখিল করার বিষয়টি তিনি নিশ্চিত করেছেন।
আসামি প্রভাবশালী হওয়ায় বাদী ওয়ালিউর রহমানসহ স্বাক্ষীরা আতঙ্কে রয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন।
খুলনা গেজেট/ টিএ