৯০ মিনিটের খেলায় নিষ্পত্তি হয়নি। অতিরিক্ত সময়ের খেলাতেও আসেনি কোনো গোল। শেষ অবধি টাইব্রেকারে মেক্সিকোকে হারিয়ে টোকিও অলিম্পিক ফুটবলের ফাইনালে পৌঁছে গেছে ব্রাজিল। নির্ধারিত সময়ের খেলা গোলশূন্য ড্র থাকার পর টাইব্রেকারে ৪-১ গোলের জয় পেয়েছে সেলেসাওরা।
ব্রাজিলের হয়ে প্রথম শটেই গোল করেন অভিজ্ঞ দানি আলভেজ। মেক্সিকো হয়ে প্রথম শট নিতে এসে ব্যর্থ হন এদুয়ার্দো আগুইরে। গোল করতে ব্যর্থ হন তিনি। এরপর ব্রাজিলের পক্ষে দ্বিতীয় গোলটি করেন গ্যাব্রিয়েল মার্টিনেলি। মেক্সিকোর হয়ে দ্বিতীয় শটেও গোল করতে ব্যর্থ হন ইয়োহান ভাস্কুয়েজ।
তাতেই অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যায় ব্রাজিলের অলিম্পিক ফাইনালে খেলা। ব্রুনো গুইমারেজ ও রেইনার ব্রাজিলের পক্ষে গোল করলে নিশ্চিত হয় সেটি। মেক্সিকোর একমাত্র সফল পেনাল্টিটি নেন কার্লোস রদ্রিগেজ।
ম্যাচে আধিপত্য দেখিয়েছে ব্রাজিলই। ৬৭ শতাংশ সময় নিজেদের পায়ে বল রাখে তারা। প্রথমার্ধের ২৮ মিনিটে এগিয়েও যেতে পারত। মেক্সিকোর এক ডিফেন্ডারের চ্যালেঞ্জে দগলাস লুইস পড়ে গেলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। অবশ্য ভিএআরে বদলে যায় ওই সিদ্ধান্ত। ফাইনালে ব্রাজিল লড়বে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে জাপান ও স্পেনের মধ্যে জয়ীর সঙ্গে।
মঙ্গলবার কাশিমা সকার স্টেডিয়ামে প্রথম সেমিফাইনালে সেরা দল হিসেবেই জয় তুলে নিয়েছে ব্রাজিল। দানি আলভেসের দল ম্যাচের নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ে গোল না পেলেও ভাল ফুটবল খেলেছে। তবে ফুটবল তো গোলের খেলা, এখানে গোল না হলে সবই বৃর্থা। তবে টাইব্রেকারে ঠিকই বাজিমাত ব্রাজিলের।
সবচেয়ে বড় কথা এই জয় তাদের জন্য স্বস্তির। ২০১২ লন্ডন অলিম্পিকের ফাইনালে এই মেক্সিকোর কাছে হেরেই প্রথম সোনার পদক জয়ের স্বপ্ন ভাঙে ব্রাজিলের। অবশ্য ২০১৬ সালেই নিজ মাঠে তারা জেতে সোনার পদক।