১৯৯৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘টাইটানিক’ সিনেমায় ম্যাসির সহ-মালিক ইসিডোর স্ট্রস হিসেবে দর্শকের কাছে পরিচিতি লাভ করা লিউ পল্টার মারা গেঝেন। তার মৃত্যুর খবর সোমবার (২৫ জুন) প্রকাশ করা হয়েছে। মৃত্যুকালে ৯৪ বছর বয়স হয়েছিল এ অভিনেতার।
গত ২১ মে ফুসফুসের ক্যানসারে মৃত্যু হয় অভিনেতা পল্টারের। তার মৃত্যুর বিষয়টি মেয়ে ক্যাথরিন হলিউড রিপোর্রটারকে জানিয়েছেন বলে খবর প্রকাশ করেছে নিউইয়র্ক পোস্ট।
মৃত্যুকালে পল্টার তার মেয়ে ক্যাথরিন এবং নাতি-নাতনি স্যাম, টেসা ও মিরান্ডাকে রেখে গেছেন। এর আগে ২০২০ সালে অভিনেতার স্ত্রী ন্যান্সি ভাটারের মৃত্যু হয়।
অস্কারজয়ী সিনেমা ‘টাইটানিক’-এর একটি স্মরণীয় দৃশ্যে স্ট্রস ও তার স্ত্রী ঘরের মধ্যে পানি প্রবেশ করার সময়ও জাহাজ থেকে বের হওয়ার পরিবর্তে একসঙ্গে বিছানায় ছিলেন।
লিউ পল্টার টেলিভিশনের পরিচিত মুখ ছিলেন। তিনি টিভি শো ‘দ্য ফ্লাইং নান’, ‘কলম্বো’, ‘দ্য ব্র্যাডি বাঞ্চ’, ‘হিল স্ট্রিট ব্লুজ’ এবং ‘এলএ ল’-এ উপস্থিত ছিলেন।
তিনি ওয়াল্টার ম্যাথিউ এবং জিল ক্লেবার্গ অভিনীত কমেডি ড্রামা ‘ফার্স্ট মনডে ইন অক্টোবর’ (১৯৮১)-এ সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। পল্টার ক্যালআর্টস স্কুল অব থিয়েটারের একজন ফ্যাকাল্টি সদস্যও ছিলেন।
পল্টার অভিনয়ে নৈপুণ্য পছন্দ করতেন এবং এ কারণে তিনি ছাত্রদেরও তা শিখিয়েছেন। ক্যালাার্টস স্কুল অব থিয়েটারের ডিন ট্র্যাভিস প্রেস্টন এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, পল্টার প্রতিটি দৃশ্য, নাটক এবং ক্লাসে গভীর কৌতূহল, যত্ন, বুদ্ধি ও হাস্যরসভাবে গড়ে তুলতেন।
খুলনা গেজেট/এনএম