বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং পরামর্শকের দায়িত্বে আর থাকছেন না নিল ম্যাকেঞ্জি। পারিবারিক কারণে পদত্যাগ করেছেন সাবেক এই দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যান। বিসিবি অবশ্য তাকে ভবিষ্যতে পাওয়ার আশা ছাড়ছে না বলে জানালেন বোর্ডের ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান আকরাম খান।
সামনে বাংলাদেশ দলের শ্রীলঙ্কা সফরে অবশ্য এমনিতেই থাকার কথা ছিল না ম্যাকেঞ্জির। তবে বৃহস্পতিবার পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, দায়িত্বেই আর থাকতে চান না।
২০১৮ সালের জুলাইয়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং পরামর্শকের দায়িত্ব নিয়েছিলেন ম্যাকেঞ্জি। খুব দ্রুতই তিনি প্রমাণ করেন কার্যকারিতা। লিটন দাসের ব্যাটিংয়ের উন্নতির পেছনে তার অবদান অনেক। এছাড়াও তামিম ইকবাল, মাহমুদউল্লাহসহ দলের আরও অনেক ক্রিকেটার ও দল সংশ্লিষ্টরা নানা সময়ই তার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন।
শুধু সীমিত ওভারের ক্রিকেটের জন্যই বাংলাদেশের দায়িত্ব নিয়েছিলেন ম্যাকেঞ্জি। বিসিবি তাকে সব সংস্করণেই চেয়েছে বারবার, তবে পরিবারকে সময় দেওয়ার জন্য কখনোই এত বেশি দায়িত্ব নিতে চাননি তিনি। বোর্ডের অনুরোধে গত বছর ভারত সফরে অবশ্য টেস্টের সময় তাকে পেয়েছিল দল।
পদত্যাগের কারণ জানিয়ে ক্রিকেট ওয়েবসাইট ক্রিকবাজকে ম্যাকেঞ্জি বলেছেন পরিবারকে সময় দেওয়ার ব্যাপারটিই।
“হ্যাঁ, পদত্যাগ করেছি আমি। একমাত্র কারণ, পরিবার থেকে দূরে থাকতে চাই না। কোভিড পরিস্থিতি, এরকম সূচি ও সব সংস্করণে কাজ করাৃপরিবার থেকে যে সময়টুকু দূরে থাকতে হবে, তা একটু বেশিই।”
“টাইগারদের হয়ে দায়িত্ব পালনের সময়টুকু আমার দারুণ ছিল এবং বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে আলাদা একটি জায়গা সবসময়ই আমার হৃদয়ে থাকবে। এখানে দারুণ কিছু মানুষের সঙ্গে কাজ করতে পেরেও নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করি।”
ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান আকরাম খান বললেন, করোনাকালীন পরিস্থিতির কারণেই মূলত ম্যাকেঞ্জিকে হারাল বাংলাদেশ।
“তিন ফরম্যাটে কাজ করতে কিন্তু ম্যাকেঞ্জি রাজী হয়েই গিয়েছিল। সব সিরিজে না হলেও টেস্টেও ওকে আমরা পেতাম। কিন্তু এখনকার পরিস্থিতিই ওকে নতুন করে ভাবিয়েছে। বিশেষ করে দেশে কোয়ারেন্টিন, সফরে গিয়ে কোয়ারেন্টিন, তারপর সিরিজ, সব মিলিয়ে পরিবার থেকে এতটা সময় দূরে সে থাকতে চায় না। অবশ্যই আমরা তাকে হারাতে চাইনি, কিন্তু কিছু করার নেই।”
“তবে এই পরিস্থিতি শেষ হলে, আবার ওকে আমরা পেলেও পেতে পারি। আমাদেরকে কিন্তু ও বলেছে যে বাংলাদেশে কাজ করতে কোনো সমস্যা ওর নেই।”
খুলনা গেজেট/এএমআর