বিশ্রামের আড়ালে টি-টোয়েন্টি দল থেকে বাদ পড়লেন মাহমুদউল্লাহ। তার বদলে জিম্বাবুয়ে সফরে নেতৃত্ব পেয়েছেন দলের উইকেটকিপার-ব্যাটার নুরুল হাসান সোহান। এমন দায়িত্ব পেয়ে উচ্ছ্বসিত হওয়ার আগে সোহানের ভাবনায় অন্য কিছু। দেশের বাইরের মাঠে যে ফরম্যাটে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স যাচ্ছেতাই সেখানে অধিনায়কত্ব করতে যাচ্ছেন তিনি।
দুর্বল দল জিম্বাবুয়ে হলেও বিষয়টি সোহানের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। যে কারণে জাতীয় দলের অধিনায়ক হয়ে রোমাঞ্চিত নন সোহান, বরং চিন্তিত।
রোববার মিরপুরের শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের মিডিয়া কক্ষে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানালেন সোহান। তবে খুব বেশি চিন্তা করছেন না বলেও জানালেন তিনি।
বললেন, ‘এটা নিয়ে বেশি চিন্তা করারও কিছু নেই। আমি নরমাল থাকারই চেষ্টা করছি। অবশ্যই এটা গর্বের ব্যাপার, তবে রোমাঞ্চের কিছু নেই। এটি অবশ্যই বড় চ্যালেঞ্জ আমার জন্য, যেটি আমি উপভোগ করতে চাই।’
দলীয় প্রচেষ্টায় সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে চান সোহান।
টি-টোয়েন্টি দলের নতুন অধিনায়ক বলেন, ‘জাতীয় দলের অধিনায়কত্ব এটা অবশ্যই গর্বের ব্যাপার। তবে সামনে যে চ্যালেঞ্জ আছে, এটি নিয়েই বেশি ভাবছি। দল হিসেবে এবং নিজের সেরাটা দেওয়াই এখন মূল লক্ষ্য। হ্যাঁ, ঘরোয়া ক্রিকেটে আমি যখন অধিনায়কত্ব করেছি, সবসময় একটা চিন্তাই থাকে— দল হিসেবে যেন খেলতে পারি। জিম্বাবুয়েতেও যেন দল হিসেবে খেলতে পারি। দলের পরিবেশও আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। সবাই তো পারফর্ম করবে না। দলের সদস্যরা যেন একজনের সাফল্য অন্যরা উপভোগ করি। এই সংস্কৃতি এবং দল হিসেবে খেলা গুরুত্বপূর্ণ।’
আগামী ২৬ জুলাই জিম্বাবুয়ের উদ্দেশে উড়াল দেবেন বাংলাদেশের দামাল ছেলেরা। সফরে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলবেন টাইগাররা। টি-টোয়েন্টি দিয়ে সফর শুরু হবে ৩০ জুলাই। এর পর ৩১ ও ২ আগস্ট অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের বাকি দুই ম্যাচ।
টি-টোয়েন্টি পর মাঠে গড়াবে ওয়ানডের সিরিজ।
টি-টোয়েন্টি দল :
মুনিম শাহরিয়ার, এনামুল হক বিজয়, লিটন দাস (উইকেটকিপার), আফিফ হোসেন ধ্রুব, নুরুল হাসান সোহান (অধিনায়ক), শেখ মেহেদি, নাসুম আহমেদ, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদ, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, নাজমুল হোসেন শান্ত, মেহেদী হাসান মিরাজ ও পারভেজ হোসেন ইমন।
খুলনা গেজেট/ এস আই