জৈব সুরক্ষা বলয়, নানা শর্ত, মানসিক ক্লান্তি, নিরাপত্তার কড়াকড়ি। সিরিজ শুরুর আগে এগুলোই ছিল আলোচনায়। অবশেষে অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি সিরিজে শুরু হচ্ছে মাঠের লড়াই। প্রথম ম্যাচে টস জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৪ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৯/১
টস জিতে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক ম্যাথু ওয়েড জানান, ‘মিরপুরের এই কন্ডিশনের সঙ্গে অভ্যস্ত হওয়ার জন্যই বোলিং বেছে নিয়েছেন তারা। এই সিরিজকে দলের অনেক তরুণ ক্রিকেটার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে নিজের জায়গা করে নেওয়ার সুযোগ হিসেবে দেখছেন।
সিরিজের প্রথম ম্যাচে টসে হেরে ব্যাটিং করতে নামা বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বলেন, এই ম্যাচে আমাদের প্রথম লক্ষ্যই হলো বড় স্কোর গড়া।
সিরিজে দলের সিনিয়র দুই ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম ও তামিম ইকবালের অনুপস্থিতি প্রসঙ্গে মাহমুদউল্লাহ জানান, তরুণ ক্রিকেটারদের সামনে এই সিরিজে নিজেদের মেলে ধরার ভালো একটা সুযোগ রয়েছে।
২০০৫ সালে ওয়ানডে, ২০১৭ সালে টেস্ট ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছে বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টিতে জয়ের সেরা সুযোগ বাংলাদেশের সামনে। এই প্রথমবার ক্রিকেটের ছোট্ট এই ফরম্যাটে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলছে দুই দল। আগে চারবার তারা টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হয়েছিল, বিশ্বকাপে খেলা ওই সবগুলো ম্যাচই হেরেছে।
ওয়ার্নার, স্মিথ, ফিঞ্চ, ম্যাক্সওয়েল, কামিন্সদের ছাড়া অস্ট্রেলিয়া দল অনেকটাই তারুণ্য নির্ভর। এ দলটিকে হারিয়ে সিরিজ জয়ের বড় সুযোগ দেখছেন বাংলাদেশের দলপতি, ‘আমাদের দলের জন্যও বড় সুযোগ, দলের প্রত্যেকটা খেলোয়াড়ের জন্য বড় সুযোগ আমাদের দক্ষতা দেখানোর জন্য। আমি বিশ্বাস করি আমরা ঘরের মাটিতে শক্তিশালী একটি দল। চেষ্টা করবো যেন নিজেদের প্রমাণ করতে পারি।’
অবশ্য বাংলাদেশও এই ম্যাচে পাচ্ছে না তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাসের মতো নিয়মিত ক্রিকেটারদের। শামীম হোসেন পাটোয়ারি ও নুরুল হাসান সোহানদের নিয়ে তারুণ্যের পরীক্ষা দিবে স্বাগতিকরাও।
বাংলাদেশ দল: মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), সৌম্য সরকার, নাঈম শেখ, সাকিব আল হাসান, নুরুল হাসান সোহান, আফিফ হোসেন, শামীম হোসেন পাটোয়ারী, সাইফুদ্দিন, তাসকিন আহমেদ, শরীফুল ইসলাম, নাসুম আহমেদ, মাহেদী হাসান, মোস্তাফিজুর রহমান, মো. মিঠুন, তাইজুল ইসলাম, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও রুবেল হোসেন।