স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের মন্থর ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ জয়ের মুখ দেখেনি! এমন অভিযোগ করছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড প্রধান নাজমুল হাসান। শুধু মাহমুদউল্লাহই নয়, অভিযোগের তীর ছিল আরো দুই সিনিয়র সাকিব আল হাসান ও মুশফিকের দিকে।
ওমানের বিপক্ষে দলকে জিতিয়ে সাকিব জবাব দিয়েছিলেন ভালোভাবেই। এবার মাহমুদউল্লাহ ঝড়ো ব্যাটিংয়ে নিজের অবস্থান জানালেন। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের দ্রুততম ও বিশ্বকাপে প্রথম হাফ সেঞ্চুরি তুলে পাপুয়া নিউ গিনির বোলিং আক্রমণ এলোমেলো করেছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। আজ পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে মাহমুদউল্লাহর অর্ধশতক এবং সাকিব আল হাসানের দুর্দান্ত অলরাউন্ডার পারফরম্যান্সে বিশাল জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।
আল আমিরাত স্টেডিয়ামে মাত্র ২৭ বলে ফিফটি পেয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। এজন্য ৩টি করে চার ও ছক্কা হাঁকিয়েছেন। বাংলাদেশের অধিনায়ক হিসেবে এ ফরম্যাটে দ্বিতীয় দ্রুততম ফিফটি এটি। ২০০৭ সালে মোহাম্মদ আশরাফুল মাত্র ২০ বলে হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন।
বিশ্বকাপে এর আগে মাহমুদউল্লাহর সর্বোচ্চ ছিল ৪৯ রান। ২০১৬ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৪৯ রানে অপরাজিত ছিলেন সাইলেন্ট কিলার খ্যাত এই ব্যাটসম্যান। আজ তার ব্যাট থেকে আসে ঝকঝকে ৫০ রান।
১০৪ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে মাহমুদউল্লাহ ২৪.১৪ গড়ে ১৮১১ রান করেছেন। শতাধিক ম্যাচ খেললেও মাহমুদউল্লাহর হাফ সেঞ্চুরি মাত্র ৫টি। সর্বোচ্চ ৬৪ রান করেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। ব্যাটিং স্ট্রাইক রেট ১১৮.৮৩।
সাকিবের ভিত গড়া ইনিংসের পর মাহমুদউল্লাহর রেকর্ড গড়া ঝোড়ো ইনিংস ও শেষ ওভারে সাইফউদ্দিনের ক্যামিওতে বাংলাদেশ ৭ উইকেট ১৮১ রান করে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এটি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। এর আগে ২ উইকেট হারিয়ে সর্বোচ্চ ১৮০ রান করেছিল ওমানের বিপক্ষে।