সাগরে ভাসতে থাকা ২৩ বাংলাদেশী জেলেকে উদ্ধার করেছে ভারতীয় কোস্টগার্ড। উদ্ধারের পর তারা বাংলাদেশী কোস্টগার্ডের কাছে হস্তান্তর করেছে। ঘূর্ণিঝড় সিত্রংয়ের কারণে বাংলাদেশী ওই জেলেদের মাছধরার নৌ যানটি ডুবে যায়। এ অবস্থায় তারা ড্রাম ধরে সাগরে দুদিন ধরে ভাসতে থাকেন।
বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) রাতে কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের (মোংলা সদর দপ্তর) মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার খন্দকার মুনিফ তকি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
প্রেস বিঙ্গপ্তিতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর প্রভাবে সৃষ্ট বৈরী আবহাওয়া এবং ইঞ্জিনের ত্রুটিজনিত কারণে ফিশিং ট্রলার “এফভি জেসমিন” ভাসতে ভাসতে বাংলাদেশ সমুদ্রসীমা অতিক্রম করে ভারতীয় জলসীমায় প্রবেশ করে। একপর্যায়ে ফিশিং ট্রলারটি ঝড়ের কবলে পড়ে ডুবে যায়। এসময় বাংলাদেশী ২০ জন জেলে মৎস্য আহরণে ব্যবহৃত ড্রাম ও ভাসমান বস্তু আকড়ে ধরে সমুদ্রে ভেসে থাকে।
ভারতীয় কোস্ট গার্ডের একটি বিমান টহল প্রদানকালে জেলেদের অবস্থান দেখতে পায় এবং তাৎক্ষণিকভাবে একটি Life Raft প্রদান করে যা তাদেরকে ভেসে থাকতে সহায়তা করে। পরে ভারতীয় কোস্ট গার্ড জাহাজ ICGS VIJAYA- কর্তৃক মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) জেলেদেরকে উদ্ধার করা হয়।
পরবর্তীতে ভারতীয় কোস্ট গার্ড বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) দুপুর ১২: ৩০ মিঃ উভয় দেশের দ্বিপাক্ষিক সমঝোতার মাধ্যমে ২৩ জন জেলেকে বাংলাদেশ-ভারত সমুদ্রসীমার শূন্যরেখায় বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড জাহাজ স্বাধীন বাংলা এর নিকট হস্তান্তর করে এবং জাহাজ কর্তৃক জেলেদেরকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়। কোস্ট গার্ডের একটি হাই স্পিড বোট যোগে স্থানান্তর করে জেলেদেরকে আকরাম পয়েন্ট হতে কোস্ট গার্ড বার্থ মংলায় নিয়ে আসা হয়। বর্তমানে তারা সবাই সুস্থ আছে। উদ্ধারকৃত ২৩ জন জেলেকে কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোন কর্তৃক মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কমলেশ মজুমদার এর উপস্থিতিতে ট্রলার মালিক পক্ষের প্রতিনিধি ও তাদের পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়। উদ্ধার হওয়া এসব জেলেদের বাড়ি ভোলা জেলার বিভিন্ন উপজেলায়।
খুলনা গেজেট/এসজেড