ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে সালিশ বৈঠকের পরও প্রাণ ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে ভিকটিম। সেই সঙ্গে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে ভুক্তভোগী পরিবার। পরিবারটি তদন্ত সাপেক্ষে প্রশাসনের ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষ ও মানবাধিকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সুত্র বলছে, কালীগঞ্জ সুন্দরপুর-দুর্গাপুর ইউনিয়নের কাদিপুর গ্রামে আর,কে ব্রিকসে আল-আমিন নামে অল্প বয়সী এক ছেলে ভেকু ডাইভার হিসেবে কাজ করত। একপর্যায়ে ভাটার পাশেই স্বামী পরিত্যক্তার একমাত্র মেয়ে মামা বাড়িতে বসবাসরত ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে ভেকু ড্রাইভার। এরই মধ্যে গত ২০ মার্চ গল্প করা অবস্থায় মেয়ে ও ভেকু ড্রাইভারকে ঘিরে ধরে ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য সমর্থিত লোকজন। মুহূর্তের মধ্যে ঘটনাস্থলে হাজির হন সুন্দরপুর-দুর্গাপুর ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান অহিদুজ্জামান ওদু ও ইউপি সদস্য রুহুল আমিন। তাৎক্ষণিক শুরু করেন সালিশ বৈঠক। বৈঠকে থানায় হস্তান্তর অথবা আর্থিক জরিমানার কথা বলা হয়। লোকলজ্জার ভয়ে ভেকু ড্রাইভার নগদ ৪০ হাজার টাকা দিতে রাজি হয় এবং জরিমানার সমুদয় টাকা তাৎক্ষণিকভাবে পরিশোধ করে নিজ বাড়ি ঢাকা জেলা সাভারে চলে যায়।
মেয়েটির মামা জানান, এ বয়সে ছেলেমেয়ের প্রেমের সম্পর্ক হতেই পারে। কিন্তু আমরা গরিব ও অসহায় বলে চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য যড়যন্ত্র করে মানসম্মান নিয়ে ছিনিমিনি করেছে। আবার জরিমানা করে টাকাও আদায় করা হয়েছে। পরবর্তীতে চেয়ারম্যান ইউনিয়ন পরিষদে ডেকে পাঠান ভিকটিম ও তার নানিকে। সেখানে গেলে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে ও ভয়ভীতি দেখিয়ে পরিষদ থেকে তাদের তাড়িয়ে দেন। এ ঘটনার পর থেকে চেয়ারম্যান ও তার লোকজন আমাদের ওপর সব সময় নজর রাখছে। তাদের ভয়ে আমরা বাড়ি থেকে বের হতে পারছি না এবং থানায় অভিযোগ দিতেও সাহস পাচ্ছি না। তাদের ভয়ে রাতের আঁধারে ভাগ্নিকে এক জায়গায় লুকিয়ে রেখে এসেছি।
এদিকে ইউপি চেয়ারম্যান সালিশ বৈঠকে জরিমানার টাকা নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে জানান, মেয়েটি এখন নাবালিকা, তাই টাকাগুলো আমার কাছে রেখে দিয়েছি। টাকা দিলেতো খরচ করে ফেলবে। মেয়েটির যখন উপযুক্ত বয়স হবে তখন আমি এ টাকা পরিশোধ করে দেব।