ঝিনাইদহ শৈলকুপায় বগুড়া গ্রামে জোরপূর্বক ধর্ষণে ১৩ বছরের এক শিশু অন্তসত্তা হয়ে পড়েছে। এঘটনায় ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে একই গ্রামের ৫ জনকে আসামী করে ঝিনাইদহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে মামলা দায়ের করেন। মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহনের জন্য শৈলকুপা থানার ওসিকে আদালত আদেশ দিয়েছে বলে জানান মামলার আইনজীবী।
নির্যাতিত শিশুটির মা রূপসী খাতুন বলেন, তার প্রতিবেশী সামায়ত মোল্যার ছেলে মিলন মোল্যা (৩৫) তার বাড়ির পাশের একটি জমি লিজ নিয়ে ঘাষের চাষ করে। গত ৫ এপ্রিল লিজ নেয়া জমি দেখার উদ্দেশ্যে তার বাড়িতে এসে লম্পট মিলন মোল্লা মেয়েকে একা পেয়ে জোরপূর্বক তাকে ধর্ষন করে। এরপর সে সবাইকে এঘটনা জানাতে চাইলে তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে চলে যায়। পরে তার শিশু কন্যা অসুস্থ হলে গত ৮ সেপ্টেম্বর শৈলকুপার কবিরপুর খন্দকার ডায়গনষ্টিক সেন্টারে ডাঃ পারভেজ হাসানের তত্বাবধানে চিকিৎসা নেন ও প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করেন। পরীক্ষা শেষে চিকিৎসক জানান মেয়েটি ৬ সপ্তাহ ৫ দিনের অন্তসত্বা।
এ ঘটনার পর মেয়েটি জানায়, তার প্রতিবেশী মিলন তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষক মিলনকে সহযোগীতা করে একই গ্রামের আনোয়ার চৌধুরীর ছেলে বিপ্লব, আইয়ুব মুন্সীর ছেলে ফরিদ মুন্সী, মৃত ছামাদ শেখের ছেলে আলী শেখ ও কুদ্দুস মিয়ার ছেলে কাশেম। এদিকে, বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখান করায় ১৩ সেপ্টম্বর ধর্ষক মিলনসহ ৫ জনকে আসামী করে ঝিনাইদহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে একটি মামলা দায়ের করেন।
বাদীর আইনজীবি সামছুজ্জামান তুহিন জানান, গত রবিবার শৈলকুপার বগুড়া গ্রামের রূপসী খাতুন তার শিশু কন্যা ধর্ষিত হওয়ার পর অবৈধ গর্ভধারনের ডাক্তারী পরীক্ষার সকল প্রমান তার কাছে আছে। তিনি আরো বলেন, বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালতের বিচারক শৈলকুপা থানাকে ৫ অভিযুক্তর নামে মামলা গ্রহনের আদেশ দিয়েছেন।
খুলনা গেজেট/এআইএন