ঝিনাইদহে নিম্নমানের ইট দিয়ে পৌরসভার সড়ক সংস্কারের অভিযোগ উঠেছে পৌর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। শুক্রবার(২৯ এপ্রিল) সকালে শহরের উজির আলী স্কুলের পাশের সড়ক সংস্কার শুরু করে পৌর কর্তৃপক্ষ। এ সময় স্থানীয়দের বাধার মুখে সেখান থেকে সটকে পড়ে প্রকৌশলীসহ সংস্কারে নিয়োজিতরা।
স্থানীয়রা জানান, পৌরসভার উজির আলী স্কুল থেকে কলাবাগান পর্যন্ত সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে একজন ঠিকাদার কাজ না করে ফেলে রেখেছেন। সড়কটির কারণে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।
কিছু দিন আগে এলাকার বাসিন্দারা সড়কটি সংস্কারের জন্য পৌরসভায় স্মারকলিপি দেন। সে সময় পৌরসভা কর্তৃপক্ষ সড়কে ভোগান্তি কমাতে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন।
শুক্রবার সকালে ছুটির দিনে ওই সড়কের ৫০০ মিটার কাজ শুরু করে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পৌরসভার প্রকৌশলী আক্তারুজ্জামান কাজল ও একজন উপসহকারী প্রকৌশলী সেখানে দাঁড়িয়ে কাজ তদারকি করছিলেন।
কাজের শুরু থেকে নিম্নমানের ইট দিয়ে কাজ করাচ্ছিলেন তারা। স্থানীয়দের ভাষায় পোড়ামাটি বা রাবিশ দিয়ে কাজ করানো হচ্ছিল।
বিষয়টি বুঝতে পেরে স্থানীয়রা সেই কাজে বাধা দেয়। খবর পেয়ে গণমাধ্যমকর্মীরা সেখানে গেলে সেখান থেকে সটকে পড়েন প্রকৌশলী।
কলাবাগান এলাকার বাসিন্দা লিটু বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে এই রাস্তা খারাপ ছিল। এখন কাজ শুরু হচ্ছে। একেবারেই নিম্নমানের ইট দিয়ে কাজ করছে। এটাকে তো ইটই বলা চলে না। পোড়ামাটি দিয়ে কাজ করাচ্ছে।’
মুরাদ হোসেন নামে আরেক বাসিন্দা বলেন, ‘যে মাটি দিচ্ছে তার থেকে এটেল মাটি দিয়ে কাজ করালে ভালো হতো। পৌরসভার টাকা নেই ভালো কথা। এখন যে ইট দিচ্ছে তা দিয়ে কাজ করে টাকা নষ্ট করার কী দরকার। পৌরসভার কর্মকর্তারা টাকা আত্মসাৎ করার জন্য এই ইট দিয়ে কাজ করাচ্ছে।’
এ বিষয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী কামাল উদ্দিন বলেন, ‘১ নম্বর ইট দেয়ার কথা। সেখানে একটু সমস্যা হয়েছে বলে কাজ আপাতত বন্ধ রেখেছি। আগামীতে ভালোমানের খোয়া দিয়ে কাজ করা হবে।’