ঝিনাইদহে ইজিবাইকচালক ইকরামুল ইসলাম হত্যা মামলার ছিনতাইকারী চক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২২ অক্টোবর) ভোররাতে ঝিনাইদহ, মাগুরা ও কুষ্টিয়ার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকু ও ছিনতাইকৃত ইজিবাইক উদ্ধার করা হয়েছে।
দুপুরে নিজ কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার মুনতাসিরুল ইসলাম।
আটককৃতরা হলেন- ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের পীরগোপাল গ্রামের মসলেম উদ্দিন মোল্লার ছেলে তানভীরুল ইসলাম নাইম (২৩), কাশিপুর গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে জাকির হোসেন (২৭), সদর উপজেলার চান্দেরপোল গ্রামের আব্দুল বারেক বিশ্বাসের ছেলে শামীম হোসেন (২৪), একই গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে রাশেদ আলী (২৬), মাগুরার শালিখা উপজেলার ছান্দাড়া গ্রামের আরজ আলী মন্ডলের ছেলে বাপ্পি হোসেন (২৬) ও কাতলী গ্রামের ইউনুছ আলীর ছেলে সাগর মোল্লা ওরফে সৈকত (৩১)।
প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার মুনতাসিরুল ইসলাম বলেন, আটককৃতরা জেলা ও জেলার বাইরে ইজিবাইক চুরি সিন্ডিকেটের সদস্য। প্রথমে তারা ইজিবাইক চালক ইকরামুলকে টার্গেট করে। গত ১২ অক্টোবর ঝিনাইদহ সদর উপজেলার তেতুলবাড়িয়া গ্রামের ইজিবাইক চালক ইকরামুল ইসলামের ইজিবাইক ভাড়া নেয় আসামিরা। পরে তাকে মদের ভেতর ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে নেশাগ্রস্ত করে কালীগঞ্জ উপজেলার রাকড়া গ্রামের মাঠের ধানক্ষেতের মধ্যে জবাই করে হত্যা করে।
তিনি আরও বলেন, হত্যাকাণ্ডের আটদিন পর গত ২০ অক্টোবর ইকরামুলের গলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন। পুলিশ তদন্ত করে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে দেওয় তথ্য অনুযায়ী ছিনতাইকৃত ইজিবাইকটি মাগুরা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১২ অক্টোবর ইজিবাইক চালক ইকরামুল নিখোঁজ হন। তার পরিবারের পক্ষ থেকে সদর থানায় একটি জিডি করা হয়। পরে নিখোঁজের আটদিন পর ১৯ অক্টোবর কালীগঞ্জ উপজেলার রাকড়া গ্রামের মাঠ থেকে ইকরামুলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
খুলনা গেজেট/ এস আই