যশোরের ঝিকরগাছায় আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে পৃথক সংঘর্ষে কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন।
এদের মধ্যে ছয়জনকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হলেন, ঝিকরগাছা উপজেলার শিমুলিয়া ইউনিয়নের শ্রীরামকাটি গ্রামের মৃত ইসাহক আলীর ছেলে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও আসন্ন নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা জহুরুল হক (৭০), মৃত আমীর হোসেনের ছেলে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক আবু সাইদ (৬৩), পানিসারা ইউনিয়নের কৃষ্ণনগর গ্রামের দবির সরদারের ছেলে মাহবুব (৫০), রাজাপুর গ্রামের মৃত তোরাব আলীর ছেলে সিরাজুল ইসলাম (৬০), মোহিনীকাটি গ্রামের শাহাজান আলীর ছেলে মিলন হোসেন (২৯) ও মৃত শের আলীর ছেলে হাসেম আলী (৫৫)।
শিমুলিয়া ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী আহত জহুরুল হক জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে তিনি নেতাকর্মীদের নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় মিশনপাড়া গ্রামে যান। ওইসময় আরেক প্রার্থী মতিয়ার রহমান সরদারের ছেলে সুবিধা ও নাতি পিয়াসের নেতৃত্বে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়। তাকে ও তার কর্মী আবু সাঈদকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে তারা। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
অপরদিকে,পানিসারা ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী পিকুল হোসেন নির্বাচনী প্রচারণায় যান। এক পর্যায়ে তিনি বেজিয়াতলা বাজারে অপর প্রার্থী নওশের আলীর নির্বাচনী কার্যালয়ের সামনে আসলে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। এতে দু’পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় কমপক্ষে ১৫ জন আহত হন। এরমধ্যে পিকুল হোসেনের কর্মী মাহাবুব, সিরাজুল, মিলন ও হাসেম আলী গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। সংঘর্ষের সময় পিকুল হোসেনের লোকজন গাড়ি ভাংচুর করে বলে দাবি করেছেন অপর প্রার্থী নওশের আলী।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ডাক্তার মুরছালিন রহমান জানান, আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সকলের শরীরে কোপানোর চিহ্ন রয়েছে। তাদেরকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
খুলনা গেজেট/ এস আই