ভারতে পালিয়ে যাবার সময় যশোরের ঝিকরগাছায় গৃহবধূ সুমাইয়া আক্তার হত্যা মামলার প্রধান আসামি আল-আমিন বাপ্পীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। সোমবার (৪ এপ্রিল) গভীররাতে সাতক্ষীরার শ্যামনগর বংশীপুর এলাকার সীমান্ত থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ঝিকরগাছা থানা ও ডিবি পুলিশ।
আটক বাপ্পী উপজেলার কাউরিয়া চৌধুরীপাড়ার আলাউদ্দিনের ছেলে। এ ঘটনায় আরো দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা হলেন, বাপ্পীর মা আঞ্জুয়ারা বেগম (৫৫) ও চাচা মণিরামপুর উপজেলার মুক্তারপুর গ্রামের মৃত আবু বক্করের ছেলে জুয়েল (৩৬)।
এর আগে গত ২৫ মার্চ ওই গৃহবধূর বাবা ঝিকরগাছা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এদিন ভোরে পানিসারার চাপাতলা ফকিরটিকের একটি মাঠ থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত সুমাইয়া পার্শ্ববর্তী শার্শা উপজেলার লক্ষণপুর গ্রামের আইয়ুব হোসেনের স্ত্রী ও দক্ষিণ বুরুজবাগান এলাকার রেজাউল ইসলামের মেয়ে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, সুমাইয়ার সঙ্গে আল-আমিন বাপ্পীর প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। এক পর্যায়ে সুমাইয়াকে স্বামীর বাসা থেকে বের করে নিয়ে যশোরের একটি বাড়িতে রাখে বাপ্পী। সেখানে সুমাইয়া বিয়ে করতে বললে নানা টালবাহানা করে। একপর্যায়ে মারধর করে টাকা-পয়সা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে চম্পট দেয় বাপ্পী। এরপর বাপ্পীর বিরুদ্ধে জিডি করেন সুমাইয়া। সেই জিডি প্রত্যাহার করে না নেয়ায় সুমাইয়াকে পরিকল্পিতভাবে খুন করে বাপ্পি বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
এ ব্যাপারে ঝিকরগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুমন ভক্ত বলেন, আল-আমিন বাপ্পী ভারতে পালিয়ে যাবার চেষ্টা করছিলেন। এ খবর পেয়ে ঝিকরগাছা থানা ও যশোর ডিবি পুলিশের যৌথ অভিযানে সাতক্ষীরার শ্যামনগর সীমান্ত থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল, মোবাইল ও ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/কেএ