বিশ্বকাপকে জমিয়ে দিলো ‘এইচ’ গ্রুপের চার দেশ দক্ষিণ কোরিয়া, পর্তুগাল, উরুগুয়ে এবং ঘানা। এই গ্রুপ থেকে একমাত্র পর্তুগাল সবার আগে শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছিল। বাকি তিন দলই আজ (২ ডিসেম্বর) মাঠে নেমেছে।
সেখানে শেষ ষোলোতে যেতে হলে দক্ষিণ কোরিয়া, ঘানা এবং উরুগুয়ে তিন দলেরই জয় আবশ্যক ছিল। যার মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়া এবং উরুগুয়ে জয় পেয়েছে। কেবল জয়ই তুলে নেয়নি একই পয়েন্ট এবং একই গোল ব্যবধান অর্জন করেছে দুই দল।
কেবল গোল দেওয়ার হিসাবে এগিয়ে ছিল কোরিয়া। তাই ঘানার বিপক্ষে ২-০ গোল ব্যবধানে জিতেও শেষ ষোলো নিশ্চিত করতে পারেনি লুইস সুয়ারেজের উরুগুয়ে। এই সময় মাঠেই আক্ষেপের কান্নায় ভেঙে পড়েন উরুগুয়ের ফুটবলাররা।
আল জানোব স্টেডিয়ামে এদিন প্রথমার্ধ শেষে উরুগুয়ে ২-০ গোল ব্যবধানের লিড নিয়ে ফেলে। অথচ এই ম্যাচে কিনা লিড আগে নিতে পারতো ঘানাইয়ানরা। শুরু থেকে উরুগুয়ের ডিফেন্সে একের পর এক আক্রমণও ছিল ঘানার পক্ষেই। ম্যাচের ১৭তম মিনিটে পেনাল্টিও পেয়ে যায় দলটি।
সেখানে অবশ্য কিছুটা বিতর্ক ছিল। রেফারি ঘানার ফুটবলার আন্দ্রে আইয়ুর বিরুদ্ধে অফসাইডের বাঁশি বাজায়। সেখানে আচমকা ধরা পড়ে ঘানার ফুটবলার কুদুসকে ফাউল করেছে উরুগুয়ের গোলরক্ষক রচেট। পরবর্তী ভিএআর প্রযুক্তিতে পেনাল্টি দেওয়া হয় ঘানাকে। কিন্তু স্পট কিক থেকে সহজ গোলের সুযোগ মিস করেছে ঘানার অধিনায়ক আইয়ু।
ঘানা পেনাল্টি মিস করার পরই বদলে যায় উরুগুয়ে। ৬ মিনিটের ব্যবধানে দুই গোল তুলে নেয় লাতিন আমেরিকার দলটি। লে সেলেস্তেদের পক্ষে দুটি গোলই করেন মিডফিল্ডার জর্জিয়ান দি আররাসসেইটা। প্রথম গোলটি অবশ্য সহজ সুযোগই ছিল তবে দ্বিতীয় গোলটি ছিল দারুণ দর্শনীয়। ম্যাচের ৩২তম মিনিটে লুইস সুয়ারেজের দারুণ এক পাস থেকে দুর্দান্ত ভলিতে বল জালে জড়িয়েছেন আররাসসেইটা।