বিশ্বকাপে দীর্ঘ এক দশকের জয়খরা কাটানোর লক্ষ্যে টস জিতে ব্যাটিং বেছে নিয়েছিল বাংলাদেশ। টস করতে নেমেই মাইলফলক স্পর্শ করেন টাইগ্রেস অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে, নারীদের ক্রিকেটে ১০০ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলতে নেমেছেন তিনি। অধিনায়কের মাইলফলকের ম্যাচে ব্যাটিংটা আশানুরূপ হয়নি বাংলাদেশের।
২ উইকেটে ৬৮ থেকে ৭ উইকেটে ১১৯। যেন ঘুরেফিরে সেই একই চিত্র। প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলতে নামা স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে বেশিদূর এগোতে পারেনি টাইগ্রেসরা। তাদের ইনিংস থেমেছে নির্ধারিত ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১১৯ রানে।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) মরুর দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনেকটা নীরবেই পর্দা ওঠে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের। বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল নারী বিশ্বকাপ। দেশের মাটিতে বিশ্বকাপ খেলার সেই সৌভাগ্য জ্যোতিরা হারিয়েছেন রাজনৈতিক পালাবদলের পর সৃষ্ট পরিস্থিতির কারণে।
শারজাহতে টস জিতে শুরুতে ব্যাটিং বেছে নিয়েছিলেন টাইগ্রেস অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। ১৪ বলে ১২ রানের ইনিংস খেলে বিদায় নেন উদ্বোধনী ব্যাটার মুর্শিদা খাতুন।
দ্বিতীয় উইকেটে জুটি গড়ার চেষ্টায় ছিলেন সাথি রাণি ও সোবহানা মোস্তারি। ধীরগতির ইনিংসে ৪৪ বলে ৪২ রানের জুটি গড়েন তারা। এটাই দলের হয়ে সর্বোচ্চ রানের জুটি। ৩টি চারের মারে ৩২ বলে ২৯ রান করে সাথি আউট হলে ভাঙে এই জুটি।
ভুল বুঝাবুঝিতে রান আউটের ফাঁদে পড়ে গোল্ডেন ডাকে ফেরেন তাজ নেহার। এ ম্যাচ দিয়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছে তার। ইনিংস বড় করতে পারেননি সোবহানা মুস্তারিও। অলিভিয়া বেলের বলে ডাউন দ্য উইকেটে এসে খেলতে গিয়ে স্টাম্পিংয়ের শিকার হন। ৩৮ বলে ৩৬ রান করেছেন তিনি।
মাইলফলকের ম্যাচে বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হয়েছেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতিও। সাস্কিয়া হরলের বলে ক্যাচ তুলে দেওয়ার আগে ১৮ বলে সমান সংখ্যক রান করেছেন জ্যোতি। এ ছাড়া স্বর্ণা, রিতু মনিরা ছিলেন আসা যাওয়ার মিছিলে।
নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের ইনিংস থামে ১১৯ রানে। স্কটিশ মেয়েদের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট শিকার করেছেন সাস্কিয়া হরলে।
খুলনা গেজেট/এএজে