জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক জুলাই মাসে দুই কোটি ৬৫ লাখ টাকার মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট জমা দিয়েছে।
বুধবার (১৮ আগস্ট) ঢাকা দক্ষিণের কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের কমিশনার এস এম হুমায়ূন কবীর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ফেসবুক তিনটি প্রতিষ্ঠানের নামে জুলাই মাসের ভ্যাট রিটার্ন জমা দিয়েছে। যার মধ্যে ফেসবুক আয়ারল্যান্ড লিমিটেড ২ কোটি ৬৪ লাখ ৯১ হাজার ৬৪৩ টাকা, ফেসবুক পেমেন্টস ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড ১৬ হাজার ৭৮৫ টাকা ও ফেসবুক টেকনোলজিস আয়ারল্যান্ড লিমিটেড ২ হাজার ২৯৪ টাকার ভ্যাট জমা দিয়েছে। মোট ২ কোটি ৬৫ লাখ ১০ হাজার ৭২২ টাকা ভ্যাট জমা দিয়েছে।
এর আগে, ফেসবুক তিনটি প্রতিষ্ঠানের নামে জুন মাসের ভ্যাট রিটার্ন গত ১৫ জুলাই জমা দিয়েছিল। ওই সময় প্রায় দুই কোটি ৪৪ লাখ টাকার ভ্যাট জমা দেয়। ফেসবুকের নিবন্ধিত তিনটি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে ভ্যাট রিটার্ন জমা দেয় প্রাইস ওয়াটার হাউস কুপারস বাংলাদেশ।
বাংলাদেশে ব্যবসা করে এমন নিবন্ধিত অনাবাসী প্রতিষ্ঠান হিসেবে ফেসবুকই প্রথম ভ্যাট রিটার্ন জমা দেয়। গত ১৩ জুন ভ্যাট পরিশোধ ও ভ্যাট রিটার্ন জমা দেওয়াসহ সরাসরি ভ্যাট সংক্রান্ত সেবা পেতে বিজনেস আইডেন্টিফিকেশন নম্বর (বিআইএন) নেয় ফেসবুক। অলনাইনে আবেদনের প্রেক্ষিতে ফেসবুক তিনটি পৃথক বিআইএন নিবন্ধন পেয়েছে। প্রতিষ্ঠান তিনটি হলো- ফেসবুক টেকনোলজিস আয়ারল্যান্ড লিমিটেড, ফেসবুক আয়ারল্যান্ড লিমিটেড ও ফেসবুক পেমেন্টস ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড।
বর্তমানে ভ্যাট আইন অনুসারে, ভ্যাট পরিশোধের ক্ষেত্রে স্থানীয় ভ্যাট এজেন্টরা দায়বদ্ধ। ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন পেতে ও ভ্যাট রিটার্ন জমা দেওয়ার জন্য সংস্থাগুলো ২০১৯ সাল থেকে নানা ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে। তাই ভ্যাট আইন অনুসারে সরাসরি এই সেবা পাওয়ার বিষয়ে তাদের পক্ষ থেকে দাবি ছিল।
‘মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২’ আইন অনুযায়ী ফেসবুক, ইউটিউব, গুগলের মতো প্রতিষ্ঠানকে মূসক নিবন্ধন নিতে হবে এবং তাদের বাংলাদেশে অফিস স্থাপন অথবা মূসক এজেন্ট নিয়োগ দিতে হবে। পরবর্তীতে ২০২০ সালের প্রথম দিকে আলাদা ভ্যাট নিবন্ধন নম্বরের আওতায় আনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয় এনবিআর।
অন্যদিকে মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন ২০১২ এবং মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক বিধিমালা ২০১৬ অনুসারে ভ্যাট নিবন্ধনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে মাস শেষ হওয়ার অনধিক ১৫ দিনের মধ্যে ভ্যাট রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। অন্যথায় সুদ ও জরিমানা আরোপের বিধান রয়েছে।
খুলনা গেজেট/কেএম