ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়িকা পরীমনি। জীবনে ঘটে যাওয়া কোনো কিছু গোপন রাখেন না। এক কথায় বলতে গেলে— সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করে দেন সব। এতে পরীর সময় কেমন যাচ্ছে, ভক্তরা উপলব্ধি করতে পারেন। এ ছাড়া পরী বিভিন্ন বিষয়ের ওপর মতামত ও পর্যবেক্ষণও ফেসবুকে দিয়ে থাকেন।
কয়েক দিন আগে পরীমনি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। সে কথাও তিনি তার ফেসবুকে ভক্ত-অনুরাগীদের সঙ্গে শেয়ার করেন।
এবার তিনি হাসপাতালে বসে জীবনের গভীরতম এক উপলব্ধির কথা প্রকাশ করলেন। এতে পরীমনি লেখেন, সুস্থ থাকার মতো বড় নেয়ামত আর কিছু নাই সত্যিই! তবে মাঝে মধ্যে ছোটখাটো অসুখ বা বিপদ না এলে জীবনের আসল শুভাকাঙ্ক্ষী বা কাছের মানুষ চিনতে পারবেন না।
অন্যের প্রতি প্রত্যাশার কথা ব্যক্ত করে পরীমনি লেখেন, একটা সময় অনেকের মতো আমারও মনে হতো কারও কাছে আমার কোনো এক্সপেক্টেশন নাই বা সেটা রাখার দরকারও নাই।’
এক্সপেক্টেশন যত কম জীবন তত সুন্দর’— বিশ্বাস করেন এই কথাটা একটা বেহুদা কথা। আপনার আত্মীয়স্বজনদের আপনি নিশ্চয়ই খারাপ সময়ে পাশে চাইবেন। অন্তত কেমন আছ জিজ্ঞেস করুক এতটুকুই অনেক কিছু মিন করে কখনো কখনো জীবনে।
এর পরের কথায় পরীমনির মনের ভেতরে জমে থাকা কিছুটা ক্ষোভের বিষয় প্রকাশ পেয়েছে। পরী লেখেন, আমি মোটেও সেলফিস ধরনের মানুষ না। তবে গত দু-এক বছর ধরে আমি ‘যে যেমন আমি তেমন’ লোক হওয়ার চেষ্টা করতেছি।
এই চেষ্টায় এবারের দৌড়টা বেশ লম্বাই হইল বলা যায়। জীবনে আজাইরা, ফাও এবং সুবিধাবাদীদের যত ঝেড়ে ফেলা যায় জীবন কেবল মাত্র তখনই সুন্দর।
আবারও লেখার শেষাংশে পরীমনি কিছু মানুষের ঋণও স্বীকার করেছেন। পরীর ভাষ্য, আমি আমার স্টাফদের যত্ন, ভালোবাসা, আন্তরিকতার কাছে ঋণী। এরাই আমার পরিবার। এন্টিবায়োটিকটা ভালোই কাজ করছে মনে হচ্ছে!
ছেলে রাজ্যকে বুকে জড়িয়ে শুয়ে থাকার ছবিও প্রকাশ করেন পরীমনি। এ প্রসঙ্গে পরীমনি লেখেন— যাই হোক, মা-ছেলের এই ছবি দুটা কেমন একটা শান্তি শান্তি দেয় না চোখে?
খুলনা গেজেট/এনএম