জীবননগর উপজেলা জুড়ে নতুন করে এক সপ্তাহের লকডাউনের প্রথম দিন ব্যাপক কড়াকাড়ির মধ্যে পার হয়েছে। ভোর থেকেই উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পুলিশের কঠোর নজরদারি ছিল। বাজারের অধিকাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছিল বন্ধ।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়ায় গত বুধবার হতে জীবননগর উপজেলাতে চলছে৭ দিনের লকাউন। পরিস্থিতির কোন উন্নতি না হওয়ায় বুধবার হতে উপজেলা জুড়ে নতুন করে এক সপ্তাহের কঠোর বিধিনিষেধ ঘোষণা করেন প্রশাসন। সরকার ঘোষিত লকডাউন বাস্তবায়নে বুধবার ভোর থেকেই উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ সদস্যরা ছিল কঠোর অবস্থানে।
পৌর সদরে প্রবেশের সকল সড়কে বাঁশ, বেঞ্চ দিয়ে চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়। প্রত্যেক মানুষকে পুলিশের প্রশ্নের জবাব দিয়ে এদিন বাজারে ঢুকতে হয়েছে। যারা সদুত্তর দিতে পারিনি তাদেরকে ওই স্থান থেকেই ফিরতে হয়েছে বাড়িতে।
থানা অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা সব শ্রেনী পেশার মানুষকে বোঝানোর চেষ্টা করছি। আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। যে কোন মূল্যে লকডাউন বাস্তবায়ন করতে হবে অন্যথায় করোনা ভয়াবহ ভাবে ছড়িয়ে পড়বে।
এদিন সকাল থেকেই উপজেলা চেয়ারম্যান, নির্বাহী কর্মকর্তা, পৌর মেয়র সহ জনপ্রতিনিধিরা পৌর সদরের সকল ওলি গলিতে পায়ে হেটে হেটে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধের পাশাপাশি সকলকে সতর্ক করেছেন।
এদিকে লকডাউনে প্রশাসনের কঠোর অবস্থানের কারণে বাজারের ওষুধের দোকান ব্যতীত প্রায় সব ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানই ছিল বন্ধ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যজিষ্ট্রেট এস এম মুনিম লিংকন বলেন, ‘করোনার ভয়াল থাবা থেকে জীবননগরবাসীকে মুক্ত রাখার জন্যই এই কঠোর বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। যারা আইন ভঙ্গ করবেন তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
খুলনা গেজেট/ টি আই