বলিউড অভিনেত্রী জিয়া খানের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় হওয়া মামলায় খালাস পেলেন তার প্রেমিক অভিনেতা সুরজ পাঞ্চালি। ১০ বছর আগের এ মামলায় শুক্রবার মুম্বাইয়ের বিশেষ সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই) আদালত এ রায় ঘোষণা করে বলে হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
আদালতের রায়ের পর খুশি সুরজের পরিবার। তবে মিডিয়ার সামনে মুখ খোলেননি সুরজ বা তার পরিবারের কোনো সদস্য। ইনস্টাগ্রামে সুরজ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে লেখেন, ‘সত্য়ের জয় সবসময় নিশ্চিত’। সঙ্গে হ্যাশট্যাগে জুড়ে দেন ‘ঈশ্বর মহান’।
শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে মা জরিনা ওয়াহাবের সঙ্গে আদালত চত্বরে উপস্থিত হন সুরজ। ‘হিরো’ তারকার পরনে ছিল সবুজ রঙা ফুল শার্ট এবং জিনস। মিডিয়ার ক্যামেরা তাকে ঘিরে ধরলেও প্রশ্নের জবাব দেননি তিনি।
সুরজ কথা না বললেও তার আইনজীবী প্রশান্ত পাতিল সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেন, ‘গত ১০ বছরে একটা রায়ও সুরজ পাঞ্চালির বিরুদ্ধে যায়নি। মুম্বাই পুলিশ বা সিবিআই নিজেদের তদন্তে তার বিরুদ্ধে কোনওরকম তথ্যপ্রমাণ জোগাড় করতে পারেনি’।
মাত্র ২৫ বছর বয়সে নিজের জীবন শেষ করে দিয়েছিলেন অভিনেত্রী জিয়া খান । ২০১৩ সালের ৩ জুন মুম্বাইয়ের ফ্ল্য়াট থেকে উদ্ধার হয়েছিল অভিনেত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ। সেই সময় সুরজের বয়স ছিল ২২ বছর। তখনও অভিনয়ের দুনিয়ায় পা রাখেননি তিনি।
লিভইন সঙ্গীকে আত্মহত্যায় প্ররোচণা দেয়ার অভিযোগে ২০১৩ সালের জুনেই গ্রেপ্তার হন সুরজ। প্রায় একমাস পর জামিন মেলে তার।
আদালতের রায় ঘোষণার পর জিয়া খানের মা রাবিয়া খান সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘আজ আত্মহত্য়ায় প্ররোচণার দায় থেকে রেহাই পেয়েছে। কিন্তু মার্ডারের অভিযোগ তো এখনও রয়েছে। প্রশ্ন হলো আমার মেয়ে মরল কীভাবে? মৃত্যুর কারণ নিয়ে তো এখনও প্রশ্ন রয়ে গেল।’
এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন রাবিয়া খান।
খুলনা গেজেট/ এসজেড