নিজেদের শেষ ম্যাচে ইংল্যান্ডকে হারিয়েও সেমিফাইনালে যাওয়া হল না দক্ষিণ আফ্রিকার। আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সপ্তম আসর থেকে ছিটকে পড়েছে দলটি। গ্রুপ ওয়ান থেকে সেমিফাইনালে উঠেছে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড।
জিতেও বাদ পড়ল প্রোটিয়ারা, সেমিফাইনালে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া
ভন ডার ডুসেন ও মারক্রাম দক্ষিণ আফ্রিকাকে এনে দেন জয়ের পুঁজি।
শারজায় টস হেরে ব্যাট করতে নেমে রানের পাহাড় জড়ো করে দক্ষিণ আফ্রিকা। নির্ধারিত ২০ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ১৮৯ রান জড়ো করে টেম্বা বাভুমার দল। ব্যাট হাতে অল্পের জন্য তিন অঙ্ক ছুঁতে পারেননি রাসি ভন ডার ডুসেন।
৬০ বলের মোকাবেলায় পাঁচটি চার ও ছয়টি ছক্কা হাঁকিয়ে ৯৪ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে অ্যাইডেন মারক্রাম ২৫ বলে ৫২ ও কুইন্টন ডি কক ২৭ বলে ৩৪ রান করেন।
জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন জেসন রয় ও জস বাটলার। তবে চোট নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় রয়কে। এতে খেই হারিয়ে ফেলে দলটি। নিয়মিত বিরতিতে হারাতে থাকে উইকেট। শেষপর্যন্ত পাল্লা দিয়ে রান তুলতে ব্যর্থ হয় ইয়ন মরগানের দল, বরণ করে আসরে নিজেদের প্রথম পরাজয়।
বাটলার-মঈনরা অবশ্য চেষ্টা করেছেন বোর্ডে যথেষ্ট রান তোলার। জস বাটলারের ১৫ বলে ২৬, মঈন আলীর ২৭ বলে ৩৭, ডেভিড মালানের ২৬ বলে ৩৩, লিয়াম লিভিংস্টোনের ১৭ বলে ২৮ ও ইয়ন মরগানের ১২ বলে ১৭ রানের ইনিংস দলকে জয় এনে দিতে পারেনি। শেষ ওভারে ইংলিশদের প্রয়োজন ছিল ১৪ রান। সেই ওভারের প্রথম দুই বলে লিভিংস্টোন ও মরগান দুজনই সাজঘরে ফেরেন। তৃতীয় বলে ক্রিস জর্ডানকে সাজঘরে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিক করেন কাগিসো রাবাদা।
শেষপর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৭৯ রান জড়ো করে ইংল্যান্ড। এতে দক্ষিণ আফ্রিকা পায় ১১ রানের জয়।