ঢাকার পল্টন ও বায়তুল মোকারম এলাকায় মিছিলের পাশ থেকে `জামায়াত কর্মী’ সন্দেহে পুলিশের ধাওয়ায় আটক তিন ব্যক্তির মধ্যে দুজন আওয়ামী লীগের নেতা। তাদের বাড়ি কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার বেরুবাড়ী ইউনিয়নে।
এদের একজন আব্দুল মোতালেব ব্যাপারী। তিনি নাগেশ্বরী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক এবং বর্তমানে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য।
এছাড়াও তিনি বেরুবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
এবারে ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন। কিন্তু পাননি। তার সঙ্গে আটক আনিছুর রহমান বেরুবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য। তবে আনিছুর ঢাকায় বায়তুল মোকারমের পাশে ব্যবসা করেন বলে জানা গেছে।
তবে আটক দুজনকে থানা থেকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম মাজু।
ঘটনা জানার পরই তিনিসহ একাধিক নেতা আটক ব্যক্তিদের পরিচয় নিয়ে ভুল বোঝাবুঝির বিষয়টি সমাধান করেন। পরে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।
জুম্মার নামাজের পর তাদের আটকের ছবি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ পায়। এ ঘটনায় আব্দুল মোতালেবের ভাই আব্দুল মান্নান বলেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলনে অংশ নেওয়ার জন্য মোতালেব ঢাকায় গিয়েছিলেন। তখন থেকে তিনি ঢাকায় অবস্থান করছেন। শুক্রবার বায়তুল মোকারম মসজিদে জুমার নামাজ শেষে বের হলে পুলিশ তাকে আটক করে।
ঘটনাস্থলে যাওয়া কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম মাজু বলেন, এটা ভুল বোঝাবুঝি ছিল। তারা নামাজ পড়ে বের হয়েছিল। এরমাঝে মিছিলের লোকজন সেখান দিয়ে ছুটে যাওয়ায় জামায়াতকর্মী সন্দেহে তাকে আটক করে। পরে পরিচয় পেয়ে ছেড়ে দেয়।
খুলনা গেজেট/ এসজেড