জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেছেন, জামায়াত কোন চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, দখলবাজদের সঙ্গে জোট করবে না। সৎ, যোগ্য, দক্ষ, নৈতিক ও আদর্শবান নেতৃত্বের মাধ্যমে জাতিকে একটি নিরাপদ বাসযোগ্য কল্যাণ রাষ্ট্র উপহার দেওয়া জামায়াতে ইসলামীর লক্ষ্য।
শুক্রবার (১১ জুলাই) বিকালে জামায়াতে ইসলামী রাজধানীর ডেমরা অঞ্চল কর্তৃক আয়োজিত প্রচারাভিযান শেষে সংক্ষিপ্ত পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, যারা দল পরিচালনায় ব্যর্থ, তারা দেশ পরিচালনায়ও ব্যর্থ। যারা ক্ষমতায় যাওয়ার আগেই দলের নেতাকর্মীদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না তারা ক্ষমতায় গেলে দেশের পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ হবে জাতি সেটি জানে। যে দলের এক নেতা আরেক নেতার কাছে নিরাপদ নয়, এক কর্মী আরেক কর্মীর কাছে নিরাপদ নয়, সেই দলের কাছে দেশ ও জাতি কখনোই নিরাপদে থাকতে পারবে না।
ড. মাসুদ আরো বলেন, আওয়ামী জাহেলী যুগের অবসান ঘটার পর এখন কারা প্রতিদিন মানুষ হত্যা করছে, কারা খুনাখুনি করছে, কারা চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী, দখলবাজি, টেন্ডরাবাজি করছে এর জবাব রাজনৈতিক দলগুলোকেই জাতির সামনে দিতে হবে।
তিনি বলেন, মিটফোর্ডের হত্যাকান্ডের মতো হত্যাকান্ড ঘটানোর জন্য ছাত্র-জনতা গণঅভ্যুত্থান অর্জন করেনি। যেখানে দেখা গেছে চাঁদা তোলা নিয়ে, চাঁদা দাবি নিয়ে একটি দলের দুই গ্রুপের নৃশংসতায় এই হত্যাকান্ড চালিয়েছে। সেখানে যুবদলের এক নেতা তাদেরই আরেক গ্রুপের সদস্যকে পাথর দিয়ে শরীর ও মাথা থেঁতলে থেঁতলে লাশ নিয়ে নৃত্য করছে।
২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর আওয়ামী লীগ লগি-বইঠা দিয়ে যেভাবে মানুষকে পিটিয়ে-পিটিয়ে হত্যা করেছে তারচেয়েও ভয়ংকর ভাবে তারা এখন মানুষ হত্যা শুরু করেছে। সারাদেশে তারা চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের মাধ্যমে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে। আগামী নির্বাচনে জনগণ এর জবাব দিবে।
জামায়াতের ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য ও ডেমরা জোনের পরিচালক অধ্যাপক মোকাররম হোসাইন খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মহানগরীর সহকারী সেক্রেটারী ঢাকা-৫ আসনের দলীয় প্রার্থী মোহাম্মদ কামাল হোসেন। এসময় স্থানীয় নেতারা বক্তব্য রাখেন।
খুলনা গেজেট/এএজে