বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চল পরিচালক মোবারক হোসেন বলেছেন, গত ৫ আগস্টের পর জামায়াত নেতাকর্মীরা যেভাবে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে সে কারণে জামায়াত মানুষের মনে আস্থার জায়গা করে নিয়েছে। জামায়াত এদেশে ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ কায়েম করতে চায়। যাতে সবাই ন্যায্য বিচার ও দাবি থেকে বঞ্চিত না হয়।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯ টায় যশোর ঈদগাহ ময়দানে রুকন সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, বিদায়ী ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর লগি-বৈঠা দিয়ে মানুষ হত্যা করে। এরপর পাশের দেশের ষড়যন্ত্রে এদেশের মেধাবী সেনা অফিসারদের নির্মমভাবে হত্যা করে। এরপর তারা জুডিসিয়াল কিলিংয়ের মাধ্যমে জামায়াতের ১১ জন দেশবরেণ্য নেতাকে হত্যা করেছে।
তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পর জামায়াত আমির ডাক্তার শফিকুর রহমান দেশ গড়ার পরিকল্পনা নেন। তিনি ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের আর্থিক সহযোগিতার মাধ্যমে পাশে দাঁড়িয়েছেন। আহতদের চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন। বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এভাবে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর কারণে দেশবাসী এখন জামায়াতকে নিয়ে স্বপ্ন দেখছে। এ কাজে রুকনদের অনেক দায়িত্ব রয়েছে। তাদেরকে যোগ্যতা ও মেধা বৃদ্ধি করে মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে।
সম্মেলনে যশোর শহর সাংগঠনিক জেলার আমির অধ্যাপক গোলাম রসুলের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির ছিলেন যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চলের টিম সদস্য ডক্টর আলমগীর বিশ্বাস। পবিত্র কোরআন তেলোয়াত করেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা আজীজুর রহমান। বক্তৃতা করেন নড়াইল জেলা আমির অ্যাড. আতাউর রহমান বাচ্চু, মাগুরা জেলা আমির অধ্যাপক এমবি বাকের, যশোর পশ্চিম জেলা আমির মাওলানা হাবিবুর রহমান ও পূর্ব জেলার ভারপ্রাপ্ত আমির মাওলানা আব্দুল আজিজ। ইসলামী সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী অ্যাড. রোকনুজ্জামান ও গাজী মুকিতুল হক।
প্রথম অধিবেশন শেষে জেলা আমির নির্বাচনে রুকনদের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। দু’হাজার ১৯৫ জন রুকন তাদের ভোটাধিকার প্রদানের মাধ্যমে নতুন নেতা নির্বাচিত করবেন।
খুলনা গেজেট/এএজে