জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) মীর মশাররফ হোসেন হলে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় ৬ শিক্ষার্থীর সনদ স্থগিত করা হয়েছে। এদের মধ্যে তিন শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কারও করা হয়েছে।
রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) সিন্ডিকেট সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়েছে। এছাড়া ঘটনার তদন্তে চার সদস্যদের কমিটি গঠন করা হয়েছে। ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সনদ স্থগিত হওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন-আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ছাত্র ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান, একই বিভাগের মুরাদ হোসেন, শাহ পরান, মোস্তফা মনোয়ার সিদ্দিকী, মো. হাসানুজ্জামান ও এবং উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সাব্বির হাসান। তাদের মধ্যে শাহ পরান ছাড়া সবাইকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। অন্যদিকে মুরাদ, সাব্বির ও সিদ্দিকীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
ধর্ষণের অভিযোগে আশুলিয়া থানার মামলায় গ্রেপ্তার ছাত্রলীগ নেতা মোস্তাফিজুরসহ চার আসামির তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাবেয়া বেগমের আদালত তাদের এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ডে নেয়া অপর আসামিরা হলেন- সাব্বির, সাগর ও হাসানুজ্জামান।
এদিন আসামিদের আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক মিজানুর রহমান। অপরদিকে আসামি পক্ষে রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে শুনানি করা হয়।
প্রসঙ্গত, শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে মীর মশাররফ হোসেন হলের ‘এ’ ব্লকের ৩১৭ নম্বর কক্ষে স্বামীকে আটকে রেখে হল সংলগ্ন পাশের জঙ্গলে নিয়ে স্ত্রীকে ধর্ষণ করা হয়। ভুক্তভোগী নারীর স্বামী আশুলিয়া থানায় ছয়জনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। এ ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পলাতক আছেন ভুক্তভোগীর পূর্বপরিচিত মো. মামুনুর রশিদ এবং স্বামীকে আটকে রাখায় সহায়তা ও মারধর করা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী মো. মুরাদ। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
খুলনা গেজেট/কেডি