খুলনা, বাংলাদেশ | ১৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৮ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে নির্বাচনি রোডম্যাপ দেয়ার আহবান বিএনপির: মির্জা ফখরুল
  চলমান ইস্যুতে সবাইকে শান্ত থাকার আহবান প্রধান উপদেষ্টার: প্রেস সচিব
  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৪ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৮৮৮

জাপা নেতা কাশেম হত্যার বিচার দ্রুত নিষ্পত্তি ও সাক্ষীর নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন

নিজস্ব প্রতিবেদক

খুলনা চেম্বারের সাবেক সভাপতি ও জাপার নগর শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ আবুল কাশেম হত্যা মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি ও সাক্ষীর পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে মঙ্গলবার জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেছেন নিহত কাশেমের ভ্রাতুষ্পুুত্র ও মামলার ৩ নং সাক্ষী শেখ মনিরুজ্জামান এলু। তিনি তার আবেদনে উল্লেখ করেছেন, জাপা নেতা কাশেম হত্যায় যিনি বিচারের দাবিতে সোচ্চার ছিলেন তিনিই খুন হয়েছেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার আদালতে পিপির মাধ্যমে মনিরুজ্জামান এলু এ আবেদন জমা দেন। আবেদনে তিনি মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তিসহ তার পরিবারের নিরাপত্তাহীনতার কথা একাধিকবার উল্লেখ করেছেন। আবেদনে তিনি শেখ আবুল কাশেম হত্যায় মাষ্টার মাইন্ড হিসেবে একজন ব্যবসায়ী নেতার নাম উল্লেখ করেছেন। এ ব্যবসায়ী নেতা ক্ষমতাসীন দলের রাজনীতির সাথে যুক্ত।

মনিরুজ্জামান এলু তার আবেদনে উল্লেখ করেন, জাপা নেতা কাশেম হত্যায় যিনি বিচারের দাবিতে সোচ্চার ছিলেন তিনিই খুন হয়েছেন। ২৪ নং ওয়ার্ডের সাবেক কমিশনার শেখ আসাদুজ্জামান লিটু তার জীবদ্দশায় কাশেম হত্যার বিচার চেয়ে আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন। ময়লাপোতা থেকে গল্লামারী পর্যন্ত তিনি অবরোধ কর্মসূচিও আহবান করেন। কাশেম হত্যা মামলায় বিচার চাওয়ায় আসাদুজ্জামান লিটু নিহত হয়। নিহত লিটু জাপা নেতা আবুল কাশেম হত্যা মামলার ২ নম্বর স্বাক্ষী।

কমিশনার লিটু হাজী বাড়ির শেখ আবুল খায়েরের জ্যেষ্ঠ পুত্র। তিনি আইনশৃংখলা বাহিনীর সাথে ‘ক্রসফায়ারে’ নিহত হন ২০০৪ সালের ৩০ আগস্ট। আর শেখ আবুল খায়ের দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে ১৯৭০ সালের এপ্রিল মাসে খুন হন। শেখ মনিরুজ্জামান এলু নগরীর পশ্চিম বানিয়াখামারন্থ শেখ আবুল খায়েরের দ্বিতীয় পুত্র।

উল্লেখ্য, ১৯৯৫ সালের ২৫ এপ্রিল দুপুরে স্যার ইকবাল রোডে বেসিক ব্যাংকের সামনে চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের গুলিতে শেখ আবুল কাশেম ও তার ড্রাইভার মিখাইল মারা যান। খুলনা থানায় মামলা দায়ের হলেও পরে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পড়ে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ওপর। দীর্ঘ তদন্ত করে ১৯৯৬ সালের ৫ মে ১০ জনের নামে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।

দীর্ঘদিন পর খুলনা জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী ট্রাইব্যুনালে মঙ্গলবার জাপা নেতা শেখ আবুল কাশেম হত্যা মামলার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আদালতকে জানান সাক্ষী ম্যাজিস্টেট সগীর আহমেদ চোখে অপারেশন হওয়ায় তিনি স্বাক্ষ্য দিতে আসতে পারেননি। এ মামলার পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ মার্চ।

 

খুলনা গেজেট/এমএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!