পশ্চিমবঙ্গ বিধান সভা নির্বাচনকে সামনে রেখে সাংগঠনিক ছক সাজাতে বিজেপির তিন শীর্ষ নেতা নতুন বছরের জানুয়ারিতেই পশ্চিমবঙ্গ সফরে আসছেন। এরা হলেন যথাক্রমে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
রাজনৈতিক মহল মনে করছে এই তিন শীর্ষ নেতা পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা সভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে সাংগঠনিক গুটিই সাজাবেন না, তৃণমূলের একটি বড় অংশের ভাঙনও ধরাবেন। তাই তৃণমূলের একটি বড় অংশের ভাঙনের সম্ভাবনা। বছরের শেষে উনিশে ডিসেম্বর তৃণমূলের হেভিওয়েট মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী অমিত শাহের উপস্থিতিতে বিজেপিতে যোগদান করেন। এখন সেই শুভেন্দু পুরোদস্তুর বিজেপির সাংগঠনিক কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, দুই মেদিনীপুর, দুই বর্ধমান, ঝাড়গ্রাম, বীরভূম চষে বেড়াচ্ছেন।
রাজনৈতিক মহল মনে করছেন এবার নতুন বছরের প্রথম মাসের সফরে তিন শীর্ষ বিজেপি নেতা এসে বাকি অধিকারী পরিবারের জনপ্রতিনিধিদের বিজেপিতে আনবেন। পূর্বমেদিনীপুরের কাঁথি মিউনিসিপ্যালিটির চেয়ারম্যান সোমেন্দ্র অধিকারীকে বিশেষ ক্ষমতা বলে তৃণমূল সরকার অপসারণ করেছে।
রাজনৈতিক মহল মনে করছে খুব শীঘ্রই অধিকারী পরিবারের দুই সাংসদ শুভেন্দুর বাবা শিশির অধিকারী ও ভাই আরেক সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী ও কাঁথির অপসারিত মিউনিসিপ্যাল চেয়ারম্যান সৌমেন্দ্র অধিকারীও বিজেপিতে যোগদান শুধু সময়ের অপেক্ষা।
রাজনৈতিক পর্যবক্ষেকরা মনে করছেন নতুন বছরের জানুয়ারি মাসেই অধিকারী পরিবার ছাড়াও কলকাতার পাশ্ববর্তী হুগলী, হাওড়া ও দুই চব্বিশ পরগণা তৃণমূলের বড়সড় ভাঙন কার্যকর হবে।
খুলনা গেজেট/এনএম