মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ১০ দিনের অনুষ্ঠানমালার ষষ্ঠ দিনে যোগ দিতে ঢাকায় পৌঁছেছেন নেপালের রাষ্ট্রপতি বিদ্যা দেবী ভান্ডারি। সোমবার সকাল পৌনে ১০টায় হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে রাষ্ট্রীয় আনুষ্ঠানিকতায় অভ্যর্থনা জানান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
এ সময় গান স্যালুট ও লালগালিচা সংবর্ধনায় বাংলাদেশে স্বাগত জানানো হয় অতিথি রাষ্ট্রপ্রধান বিদ্যা দেবীকে। পরে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে যান নেপালের রাষ্ট্রপতি।
জাতির পিতার জন্মশতবর্ষে তার প্রতি ভালোবাসা জানাতে ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানমালায় যোগ দিতে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের আমন্ত্রণে দু’দিনের সফরে ঢাকায় আসেন নেপালের রাষ্ট্রপতি। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিভিআইপি টার্মিনালে তাকে নিয়ে অবতরণ করে কাঠমান্ডু থেকে আসা নেপাল এয়ারওয়েজের বিশেষ বিমানটি। নেপালের রাষ্ট্রপতি হিসেবে প্রথমবার ঢাকা সফরে আসা বিদ্যা দেবীকে স্বাগত জানাতে সশরীরে বিমানবন্দরে হাজির হয়েছিলেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপ্রধান।
বর্ণাঢ্য রাষ্ট্রাচারে প্রথা অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি বিদ্যা দেবী ভান্ডারিকে সামাজিক দূরত্ব মেনেই বরণ করে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। রাষ্ট্রীয় আনুষ্ঠানিকতায় সালাম জানানো হয় নেপালের রাষ্ট্রপতিকে, দেওয়া হয় গান স্যালুট। সামরিক রীতিতে তিন বাহিনীর গার্ড পরিদর্শন করেন বিদ্যা দেবী। এ সময় যন্ত্রসংগীতে দু’দেশের জাতীয় সংগীত বাজিয়ে সম্মান জানানো হয় এই অতিথি রাষ্ট্রপ্রধানকে।
পরে দুই রাষ্ট্রপ্রধান লাল গালিচায় হেঁটে দুই সারিতে দাঁড়িয়ে থাকা দু’দেশের মন্ত্রী, কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরিচয় পর্ব শেষে করেন। এ সময় নিজে অতিথি বিদ্যা দেবীকে গাড়ি পর্যন্ত এগিয়ে দেন রাষ্ট্রপ্রধান আবদুল হামিদ।
বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে আসেন বিদ্যা দেবী। সেখানে শ্রদ্ধা জানান শহীদদের প্রতি। চৌকস দল সামরিক কায়দায় সম্মান জানায় এ অতিথি রাষ্ট্রপ্রধানকে। প্রথা অনুযায়ী সেখানে একটি গাছের চারা রোপণ করে পরিদর্শন বইতে তিনি লেখেন, বাঙালির ত্যাগ আর সংগ্রামে অর্জিত স্বাধীনতার গৌরবগাঁথা।
খুলনা গেজেট/এনএম