জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় করণীয় ঠিক করতে আগামী ৩০ অক্টোবর এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ডেকেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সূত্রগুলো জানিয়েছে, বৈঠকে সশস্ত্র বাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, মহাপুলিশ পরিদর্শক, র্যাব, বিজিবি, আনসার ও ভিডিপি, কোস্টগার্ড, এনএসআই, ডিজিএফআই-এর মহাপরিচালক, এসবি’র অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত চিঠি সংশ্লিষ্টদের পাঠিয়েছেন।
এতে বলা হয়েছে, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে করনীয় নির্ধারনের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সকলের উপস্থিতিতে আগামী ৩০ অক্টোবর বেলা ১১টায় নির্বাচন কমিশন ভবনের সভাকক্ষে (কক্ষ নং-৫২০) এক সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সভায় নির্বাচন কমিশনাররা উপস্থিত থাকবেন। সভায় যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য নির্দেশনা দিয়েছে ইসি।
সংসদ নির্বাচনের উপকরণ প্রায় কেনা শেষে পথে। বর্তমানে মাঠ পর্যায়ে পাঠানোর প্রক্রিয়াও শুরু করেছে ইসি। সরকারি মুদ্রণালয়কে ব্যালট পেপারসহ অন্যান্য উপকরণ ছাপানোর নির্দেশনাও দিয়েছে ইসি।
নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, আমাদের সকল কাজ শেষ। এখন কেবল তফসিল ঘোষণা বাকি আছে।
ইসির পরিকল্পনা অনুযায়ী, আগামী নভেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিল ঘোষণা করা হবে। আর ডিসেম্বরের শেষ থেকে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে ভোটগ্রহণ।
সর্বশেষ হালনাগাদ অনুযায়ী, দেশে ভোটার সংখ্যা ১১ কোটি ৯১ লাখ ৫১ হাজার ৪৪০ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৪ লাখ ৪৫ হাজার ৭২৪ জন। আর নারী ভোটার ৫ কোটি ৮৭ লাখ ৪ হাজার ৮৭৯ জন। এ ছাড়া তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ৮৩৭ জন। তরুণ ভোটারদের অন্তর্ভুক্ত করার সুযোগ সৃষ্টি করায় এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। তাই এবার ভোটকেন্দ্র ও ভোটকক্ষের সংখ্যা বাড়ছে পাঁচ শতাংশের মতো।
খসড়া তালিকার ওপর দাবি-আপত্তি শুনানি শেষে এবার ভোটকেন্দ্র টিকেছে ৪২ হাজার ১০৩টি। এতে ভোটকক্ষ রয়েছে দুই লাখ ৬০ হাজারের মতো।
ভোটকেন্দ্র বেশি হওয়ায় এবার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও বেশি মোতায়েন হতে পারে। এ ছাড়া নিরাপত্তা পরিকল্পনাও নিতে হবে এখনই। এ ক্ষেত্রে ৩০ অক্টোবরের বৈঠককে বেশ গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন ইসি কর্মকর্তারা।
খুলনা গেজেট/কেডি