নাসরুল্লাহর হত্যার প্রতিবাদে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে জরুরি বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছেন ইরানের রাষ্ট্রদূত আমির ইরাভানি। এতে তিনি তার দেশের কূটনৈতিক প্রাঙ্গণ এবং প্রতিনিধিদের ওপর যেকোনো হামলার বরুদ্ধে সতর্ক বার্তা দিয়েছেন। সংস্থাটির ১৫ সদস্যের কাছে দেয়া চিঠিতে তিনি বলেছেন, তেহরান কোনোভাবেই এমন আগ্রাসন সহ্য করবে না। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
এতে বলা হয়, লেবাননে হামলাকারী দেশকে উদ্দেশ্য করে চিঠিতে ইরানের রাষ্ট্রদূত বলেছেন- ইরান তার গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় ও নিরাপত্তার স্বার্থে প্রতিরক্ষার প্রতিটি পদক্ষেপ নিতে আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে তার অন্তর্নিহিত অধিকার প্রয়োগ করতে দ্বিধা করবে না। নিরাপত্তা পরিষদকে ইসরাইলের বিরুদ্ধে নির্ধারিত পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আমির ইরাভানি।
তিনি বলেছেন, অঞ্চলটিতে পূর্ণ মাত্রার যুদ্ধ শুরু হয়েছে। বেশ কয়েক বছর ধরে লেবননের হিজবুল্লাহ যোদ্ধাগোষ্ঠীকে আর্থিক এবং সামরিক সহায়তা করে আসছে ইরান।
এর আগে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, নাসরুল্লাহর হত্যা প্রতিশোধ ছাড়া থাকবে না। শনিবার ইসরাইলের হামলায় নিহত হয়েছেন হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ। ইসরাইলের দাবির পর দলটির পক্ষ থেকেও এর সত্যতা নিশ্চিত করা হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের এ সংগঠনটি গত কয়েক দশক ধরে ইসরাইলি দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে।
গত বছরের অক্টোবরে গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের আক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে হিজবুল্লাহ এবং ইসরাইল আন্তঃসীমান্ত সংঘাতে লিপ্ত রয়েছে। হামাসের আন্তঃসীমান্ত আক্রমণের পরে শুরু হওয়া এই আগ্রাসনে ইতোমধ্যেই গাজায় ৪১ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
খুলনা গেজেট/এনএম