উপকূলে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবিতে কাফনের কাপড় পরে আন্দোলনের ঘটনায় দুই স্বেচ্ছাসেবককে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করায় পদ্মপুকুর ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাড. আতাউর রহমান ও পাউবোর সেকশন অফিসার আলমগীর হোসেনের বিচারের সাতক্ষীরায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (৩০মে) বেলা ১১টায় প্রেসক্লাবের সামনে সম্মিলিত সামাজিক সংগঠন জোট এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে।
এসময় সাতক্ষীরা আমরা বন্ধুর সিনিয়র সদস্য গাজী আজাদের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, দ্য এডিটরস এর ডেপুটি এডিটর শেখ হারুন-উর-রশিদ, ডেইলি সাতক্ষীরার সম্পাদক হাফিজুর রহমান মাসুম, ভালোবাসার মঞ্চের সভাপতি আকরামুল ইসলাম, সাতক্ষীরা স্টুডেন্টস সোসাইটির সভাপতি শাকিল হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক হোসেন আলী, আমরা বন্ধুর সদস্য ফাহাদ হোসেন ও সাকিব হোসেন প্রমূখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, উপকূলের বেড়িবাঁধ জরাজীর্ণ হয়ে পড়ায় আইলার পর থেকেই সাতক্ষীরা উপকূলের মানুষ চরম অনিরাপত্তার মধ্য দিয়ে জীবনযাপন করছে। দীর্ঘদিনেও টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মিত না হওয়ায় বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়ছে উপকূলীয় এলাকা। সেই উপকূলের মানুষের জানমালের নিরাপত্তায় টেকসই বেড়িবাঁধের জন্য স্থানীয়রা উদ্যোগী হয়ে আন্দোলনের নামলে জনপ্রতিনিধিদের খুশি হওয়ার কথা। কিন্তু পদ্মপুকুরে তার ব্যতিক্রম ঘটলো। সেখানে আন্দোলনে নামায় ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান ক্ষেপে গিয়ে স্বেচ্ছাসেবকদের লাঞ্ছিত করলেন। আর পাউবো কর্মকর্তা জেলে ভরার হুমকি দিলেন। কিন্তু কেন? নিশ্চয় টেকসই বেড়িবাঁধ হলে তাদের বেড়িবাঁধ কেন্দ্রিক রুটি রুজি বন্ধ হয়ে যাবে।
বক্তারা ২৪ ঘণ্টার মধ্য জলবায়ু যোদ্ধা শাহিন বিল্লাহ ও ইয়াসির আরাফাতকে লাঞ্ছিতের ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনা না হলে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারি দেন।
এদিকে, জলবায়ুযোদ্ধা হিসেবে পরিচিত শাহীন বিল্লাহ ও ইয়াসির আরাফাতকে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে সাতক্ষীরার তালায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। একইভাবে প্রতিবাদ ও নিন্দার ঝড় উঠেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। সকলেই দুই তরুণ স্বেচ্ছাসেবককে মারধরের ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছেন।
প্রসঙ্গত, সাতক্ষীরা উপকূলের জানমালের সুরক্ষায় টেকসই বেড়িবাঁধের দাবিতে কাফনের কাপড় পরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করায় শনিবার শত শত মানুষের সামনে দুই জলবায়ু কর্মীকে মারধর করের স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান ও পাউবো কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন।
খুলনা গেজেট/কেএম