খুলনা, বাংলাদেশ | ১৩ মাঘ, ১৪৩১ | ২৭ জানুয়ারি, ২০২৫

Breaking News

  বেতনের সাথে অবসর ভাতা দেয়াসহ বিভিন্ন দাবি পূরণ না হওয়ায় আজ মধ্যরাত থেকে ট্রেন না চালানোর ঘোষণা রেলের রানিং স্টাফদের
  ঢাবির প্রো-ভিসির পদত্যাগ চেয়ে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের

জমি বিক্রি করে নির্বাচনের প্রুস্তুতি, মনোনয়ন দাখিলে ব্যর্থ

গেজেট ডেস্ক

চুয়াডাঙ্গায় মনোনয়নপত্র জমা না দিতে পারায় কান্নায় ভেঙে পড়েন  নামে এক প্রার্থী। জমি বিক্রি ও বন্ধক রেখে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন তিনি। সেই হিসাবে মনোনয়নপত্র উত্তোলন করলেও জমা দিতে পারেননি জাহাঙ্গীর আলম।

জমা দেওয়ার নির্ধারিত সময়ের ৪৫ মিনিট পর তিনি আসেন জেলা রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে। রিটার্নিং কর্মকর্তাকে মনোনয়নপত্র জমা নেওয়ার জন্য বারবার অনুরোধ করেন। কিন্তু মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পেরে কান্নায় ভেঙে পড়েন জাহাঙ্গীর আলম।

বৃহস্পতিবার বিকালে রিটার্নিং কর্মকর্তার অফিসে তিনি মনোনয়নপত্র জমা দিতে আসেন। জাহাঙ্গীর আলম দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা দুধপাতিলা গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে ও পল্লী চিকিৎসক।

স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, দামুড়হুদায় ৫ কাঠা জমি বিক্রি করি ৭ লাখ ২০ হাজার টাকায়। আর দুই জায়গায় জমি লিজ (বন্ধক) রেখে আরও দুই লাখ টাকা নিই নির্বাচন করার জন্য। চুয়াডাঙ্গা-২ আসন থেকে নির্বাচন করার ইচ্ছায় ২৩ নভেম্বর জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র উত্তোলন করি। এর পর ৫ হাজার ভোটারের স্বাক্ষর নেওয়ার কাজ শেষ করি।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে চুয়াডাঙ্গায় রয়েছি নির্বাচনের সব কাগজপত্র প্রস্তুত করার জন্য। কিন্তু আইনজীবীর কাছে আমার কিছুটা দেরি হয়ে যায়।

মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার নির্ধারিত সময় বিকাল ৪টা হলেও আমি বিলম্বে আসি। এর পর রিটার্নিং কর্মকর্তা আমার মনোনয়নপত্র আর জমা নেননি।

তিনি আরও বলেন, দীর্ঘ দিন এলাকায় কাজ করেছি সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে। জমি বিক্রি করে ভোটের প্রস্তুতি ভালোভাবেই নিচ্ছিলাম। কিন্তু আমার ইচ্ছা আজ পূরণ হলো না। স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে গেল। এ সময় তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন।

জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ড. কিসিঞ্জার চাকমা বলেন, নির্ধারিত সময়ের পর প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিতে আসায় নেওয়া সম্ভব হয়নি। আইনের বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

খুলনা গেজেট/ টিএ




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!