যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাবিরা সুলতানা মুন্নিসহ সাতজন জমি দখলের মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন। বুধবার মামলার শুনানি শেষে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়া এ আদেশ দেন।
অব্যাহতি পাওয়া অন্য আসামিরা হলেন, ঝিকরগাছা উপজেলার কৃত্তিপুর গ্রামের মৃত নাজমুল ইসলামের তিন ছেলে সাদমান আলভী রিফাত, নাফিউল ইসলাম, নাওয়াফ, নাজিউল ইসলাম, আবুল হোসেনের দুই ছেলে কল্লোল হোসেন ও কাকন এবং ইসলামের ছেলে আমিনুর রহমান।
মামলার সূত্রে জানা যায়, ঝিকরগাছার কৃত্তিপুর মৌজার ১১৬৪, ১২৩২ ও ১৩০৬ দাগের ০.১৪৯৮ একর জমি ওলিয়ার রহমানের কাছ থেকে ২০০২ সালের ২৬ আগস্ট দলিলমূলে ক্রয় করেন আব্দুল করিম। পরে ২০১৭ সালের ৪ জুলাই তিনি এ জমি তার মেয়ে আরিফা সুলতানার নামে হেবা দলিল করে দেন। হেবা দলিলের ভিত্তিতে আরিফা সুলতানা নিজ নামে নামজারি করে জমির দখল ভোগ করতে থাকেন।
এ জমির পাশে সাহেব আলীর ৯৪ শতক জমি ২০০৪ সালের ৩০ নভেম্বর ক্রয় করেন নাজমুল ইসলাম। এক পর্যায়ে আসামিরা আরিফা সুলতানার জমি দখলের ষড়যন্ত্র শুরু করেন। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালের ২৮ জুন তারা জমিটি দখল করে নেন। এ সময় আরিফা সুলতানা ও তার স্বজনরা বাধা দিতে গেলে আসামিরা তাদের খুন-জখমের হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেন।
এই ঘটনায় ২০২৪ সালের ৯ জুলাই আরিফা সুলতানা বাদী হয়ে সাবিরা সুলতানাসহ সাতজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন। তৎকালীন বিচারক অভিযোগ গ্রহণ করে আসামিদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন। পরে তারা আদালতে হাজির হয়ে জামিন নেন।
গত ২৭ জানুয়ারি মামলার চার্জ গঠনের নির্ধারিত দিনে আসামিপক্ষের আইনজীবী তাদের অব্যাহতির জন্য আদালতে আবেদন করেন। বুধবার ওই আবেদনের শুনানি শেষে একই বিষয়ে জজ আদালতে দেওয়ানি মামলা চলমান থাকায় বিচারক মামলাটি খারিজ করে আসামিদের অব্যাহতির আদেশ দেন।
খুলনা গেজেট/এনএম