খুলনা, বাংলাদেশ | ২৪শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৭ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Breaking News

  প‌বিত্র ঈদুল আজহা আজ, খুলনা গেজেটের সকল পাঠক, লেখক, বিজ্ঞাপনদাতা ও শুভানুধ্যায়ীকে শুভেচ্ছা, ঈদ মোবারক।
সংবাদ সম্মেলন

জমি কিনে দেওয়ার কথা বলে টাকা নিয়ে হাওয়া পুলিশ কনস্টেবল

নিজস্ব প্রতিবেদক

গ্রামের জমির বিনিময়ে খুলনা শহরে জমি কিনে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তেরখাদা উপজেলার চরপাতলা গ্রামের মানুষদের কাছে টাকা নিয়েছেন পুলিশ কনস্টেবল মোল্লা রহমত উল্লাহ। কয়েকজনের জমি নিজের ও স্ত্রীর নামে লিখেও নিয়েছেন। কিন্তু শহরে জমি কিনে না দিয়ে সেই টাকা নিয়ে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থানায় বদলী হয়ে গেছেন তিনি। টাকা পেতে ওই পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন ভুক্তভোগীরা। তারপরও টাকায় আদায় করতে পারছেন না তারা।

বুধবার (৪ জুন) খুলনা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করেন তেরখাদা উপজেলার চরপাতলা গ্রামের ফিরোজা বেগম। এ সময় তার সঙ্গে আরও দু’জন ভুক্তভোগী উপস্থিত ছিলেন। অভিযুক্ত মোল্লা রহমত উল্লাহ (কং/১৮৫১) দীর্ঘদিন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশে কর্মরত ছিলেন। ওই সময় জমি কেনাবেচার ঘটনা ঘটে। বর্তমানে তিনি কেরানীগঞ্জ থানার কলাটিয়া ফাঁড়িতে কর্মরত রয়েছেন। ভুক্তভোগীদের সঙ্গে পরিচয়ের বিষয়টি স্বীকার করলেও অর্থ লেনদেনের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী আবু তালেব মোড়ল জানান, চাকরির পাশাপাশি মোল্লা রহমতউল্লাহ জমি কেনাবেচার কাজ করতেন। গ্রামের জমির পরিবর্তে খুলনার ডুমুরিয়া থানার চক আহসান খালী মৌজায় তার স্ত্রীর নামে থাকা ২ দশমিক ০১ একর জমি কেনার জন্য আমাদের প্রস্তাব দেয় রহমত। জমি কিনতে কয়েকটি ধাপে ৩৮ লাখ ৬৭ হাজার টাকা গ্রহণ করে এবং চরপাতলা গ্রামের বাড়িতে থাকা আমার ২ বিঘা জমিও মোল্লা রহমতউল্লাহ এবং তার স্ত্রী সুচরিতার নামে লিখে নেয়। কিছুদিন পরে আমরা জানতে পারি চক আহসান খালী মৌজায় তার কোনো জমি নেই।

তিনি বলেন, একইভাবে আমার বৌমা আকাশী খাতুনকে খুলনা নগরীতে জমি কিনে দেওয়ার কথা বলে ১২ লাখ তিন হাজার টাকা নিয়েছে। তাকেও চক আহসান খালী মৌজায় দশ শতক জমি কিনে দেওয়ার কথা ছিল। প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে ওই পুলিশের বিরুদ্ধে গতবছর খুলনার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে সিআর ২৮৯/২৪ মামলা দায়ের করি। মামলা তুলে নিতে সে আওয়ামী লীগের লোকজন দিয়ে আমাদের হুমকি দিতো।

এ ব্যাপারে পুলিশ কনস্টেবল মোল্লা রহমত উল্লাহ বলেন, আবু তালেব ও ফিরোজা বেগম আমার কাছে তাদের জমি বিক্রির প্রস্তাব দেয়। দাম কম দেখে কিছু জমি আমার এবং কিছু স্ত্রীর নামে কিনে নেই। সড়কের পাশের জমি দাম এখন কয়েকগুন বেড়ে গেছে। এখন তারা জমি ফেরত চাইছে। দামি জমি ফেরত না দেওয়ায় তারা মিথ্যা তথ্য দিচ্ছে।

খুলনা গেজেট/হিমালয়/এএজে




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!