খুলনা, বাংলাদেশ | ৮ পৌষ, ১৪৩১ | ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  গাজীপুরে কারখানায় আগুন : নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২
  হাইকোর্টের বেশ কয়েকজন বিচারপতির বিরুদ্ধে অনিয়ম তদন্তে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন
  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ২ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১৬৫

ছেলের অস্ত্রের কোপে বাবা-মা জখম!

গেজেট ডেস্ক

ঘরে বাজার না থাকায় ২০০ টাকা চাওয়ায় বাবা-মাকে কুপিয়ে জখম করেছে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার বেলগাছি গ্রামের বকচরপাড়ার সোহেল নামে এক যুবক। বাবা-মাকে জখম করার পর সোহেল আত্মহত্যার চেষ্টা করলে প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করেন।

বুধবার রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সোহেলকে আটক করে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। আর সোহেলের বাবা আশরাফুল ইসলাম ও মা শাবানা খাতুনকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

সোহেল চুয়াডাঙ্গা সদর থানাধীন বেলগাছি গ্রামের বক্সারপাড়ার মো. আসাবুল ও শাবানা দম্পতির একমাত্র ছেলে। তিনি পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি।

পুলিশ জানায়, রাজমিস্ত্রির কাজ করে উপার্জিত টাকার বেশিরভাগই সোহেল নেশার পেছনে খরচ করেন। ছেলে নেশাগ্রস্ত হওয়ায় বাধ্য হয়ে এর আগে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেন তার মা-বাবা। কিন্তু জেল থেকে বের হয়ে আসার পর সোহেল আবারো নেশার জগতে ফিরে যান। বুধবার রাতে নেশা করে বাড়িতে ফিরে এলে সোহেলের মা তার কাছে বাজার করার জন্য ২০০ টাকা চান। এতে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে বাগবিতণ্ডা শুরু করেন এবং হাঁসুয়া দিয়ে কুপিয়ে তার মা ও বাবাকে জখম করেন।

এসময় প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে সোহেল নিজের ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে ভেতর থেকে দরজা-জানালা বন্ধ করে দেন। পরে ঘরে থাকা জিনিসপত্রে আগুন জ্বালিয়ে নিজেকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা চালান।

সোহেলের ঘর থেকে ধোঁয়া বের হলে উপস্থিত লোকজন চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করেন এবং চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. জাহাঙ্গীর আলম, সদর থানার ওসি আবু জিহাদ ফকরুল আলম খানসহ পুলিশের ১০-১২ সদস্যের একটি টিম। সোহেল ঘরের দরজা খুলছিলেন না। পরে ঘরের ওপর থেকে ইটের বেড়া ভেঙে ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে সোহেলকে আগুনের হাত থেকে জীবিত উদ্ধার করেন পুলিশ সদস্যরা।

সোহেলের বাবা আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘সোহেল দীর্ঘদিন যাবত নেশা করে। আমরা নিষেধ করলে আমাদের ওপর অত্যাচার করে। আমরা আর সহ্য করতে পারছি না। এর আগে পুলিশ ধরে নিয়ে গেলে মায়ার টানে ছেলেকে ছাড়িয়ে নিয়ে এসেছিলাম। এবার আমরা আর ছাড়াবো না। সামান্য টাকা চাওয়ায় আমাদের কুপিয়ে জখম করেছে। এরকম ছেলে থাকার চেয়ে না থাকা ভালো।’

চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এর আগে মাদক সেবনের জন্য সোহেল জেল খেটেছে। আত্মহত্যার চেষ্টা ও মাদক সেবনের জন্য প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

খুলনা গেজেট/ এস আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!