খুলনা, বাংলাদেশ | ১৫ পৌষ, ১৪৩১ | ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ২৪ ঘন্টায় ডেঙ্গুতে ২ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ছাড়াল এক লাখ ১ হাজার
  জামালপুরে ব্রহ্মপুত্র নদে ডুবে তিন ভাইয়ের মৃত্যু
  সচিবালয়ে আগুনের তদন্ত চলমান থাকায় মানুষের চলাচল সীমিত করা হয়েছে, আলামত যেন নষ্ট না হয়, ক্রাইম সীন রক্ষায় এমন সিদ্ধান্ত : প্রেস সচিব
  শেরপুরে বাস-অটোরিকশার সংঘর্ষে নিহত ৬

ছেলে চোখ মিলেছে, অপেক্ষায় আছি কখন বাবা বলে ডাকবে : কুমার বিশ্বজিৎ

বিনোদন ডেস্ক

সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত সংগীতশিল্পী কুমার বিশ্বজিতের ছেলে নিবিড়ের অবস্থা কিছুটা উন্নতির দিকে। কানাডার টরন্টোর সেন্ট মাইকেল হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে থাকা নিবিড় প্রায় ১৪ মাস পর চোখ মেলতে শুরু করেছেন। ‘অপেক্ষায় আছি কখন বাবা বলে ডাকবে।’ বললেন কুমার বিশ্বজিৎ।

তিনি আরও বলেন, ‘আমার আশা, ভালোবাসা ভবিষ্যৎ, সবকিছু নিবিড়কে নিয়ে। এ ঘটনায় আমার পুরো দুনিয়াটা থেমে আছে। এমন অবস্থায় একজন পিতা কেমন থাকতে পারে। একজন পিতা হিসেবে সব ধরনের চেষ্টা করে যাচ্ছি। নিবিড়ের শারীরিক অবস্থা এখন অনেক উন্নতির দিকে। কেউ কিছু বললে সেটা বুঝতে পারে। তার দিকে তাকিয়ে থেকে সাড়া দেয়। বুঝতে পারে তাকে কিছু বলা হচ্ছে। দেরি আছে পুরোপুরি সুস্থ হতে। রিহ্যাবে নেওয়ার পর ফিজিওথেরাপি, স্পিচথেরাপি, স্টিমিউলেটেড থেরাপি এসব দিতে হবে। দীর্ঘমেয়াদী কাজ এসব।’

কুমার বিশ্বজিৎ বলেন, ‘আমি ও নিবিড়ের মা চেষ্টা করে যাচ্ছি। ওর মা সন্তানের জন্য খুব কষ্ট করছেন। আমাদের জন্য খুব কঠিন একটা সময়। আমাদের পরিচিত স্বজন অনেকেই আছেন। তারাও দেখাশোনা করেন। ধীরে ধীরে ভালো হয়ে যাবে আশা করছি। দীর্ঘদিন হাসপাতালে শুয়ে থাকার কারণে শরীর অসাড় হয়ে আছে। একটু একটু করে ঠিক হবে। গত দুই মাস থেকে তাকে চেয়ারে বসানো হচ্ছে। চেয়ে থেকে আমাদের চিনতে চেষ্টা করে। ডাকলে তাকিয়ে থাকে মুখের দিকে।’

‘নিবিড়ের এক্সপ্রেশনে দেখে মনে হয়, বাবা-মাকে চিনছে। আমাদের চেনে। অনেক সময় তাকানো, ৩৬০ ডিগ্রিতে ঘোরা। এরপর যখন বলা হয়, “বাবা আসছে, মা আসছে”, তখন বোঝা যায়, আমাদের চেনে। মা যখন বলে, “আমাদের চিনতে পারো?” তখন তার এক্সপ্রেশনে বুঝতে পারি, হয়তো চিনছে। অপেক্ষায় আছি কখন বাবা বলে ডাকবে।’ বললেন কুমার বিশ্বজিৎ।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি কানাডার টরন্টোয় সড়ক বিভাজকের সঙ্গে প্রাইভেটকারের ধাক্কা লেগে নিবিড় কুমার গুরুতর আহত হন। এ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান আরও তিন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী।

খুলনা গেজেট/এএজে




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!