চিতলমারী উপজেলায় হাট-বাজারের ইজারাকে কেন্দ্র করে শিবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ এবং একই ইউনিয়নের শ্রমিক লীগের সভাপতি মো: রমজান মারপিটের শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় ২৪ ফেব্রুয়ারী রাতে মো: রমজান বাদী হয়ে চিতলমারী সদর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের ১নং ওয়ার্ড সভাপতি ফেরদৌসসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেছেন। মামলার পর থেকে বাদী মো: রমজান চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন বলে রবিবার (২৬ ফেব্রুয়ারী) বিকেলে স্থানীয় সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২৩ ফেব্রুয়ারী দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয় থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের জন্য নালুয়া হাট-বাজারের ইজারা পান। এ ঘটনার পর আবুল কালাম আজাদ তাঁর ভাগিনা মো: রমজানকে নিয়ে উপজেলা পরিষদ থেকে বের হলে ছাত্রলীগ নেতা ফেরদৌসের নেতৃত্বে ১৫-২০ জনের একটি দল তাঁদের গতিরোধ করে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করলে তাঁরা আবুল কালাম আজাদ ও তাঁর ভাগ্নে মো: রমজানকে মারপিট করে। মারপিট ঠেকোতে ৩০ হাজার টাকা চাঁদা পরিশোধ করেন।
মো: রমজান সাংবাদিকদের বলেন, ‘হাট-বাজারের ইজারাকে কেন্দ্র করে চিতলমারী সদর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের ১নং ওয়ার্ড সভাপতি ফেরদৌসসহ ১৫-২০ জনের একটি দল আমাদের কছে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। আমি মার ঠেকাতে ৩০ হাজার টাকা পরিশোধ করেছি। চাঁদাবাজির মামলা করার পর থেকে আসামীদের লোকজনের হুমকিতে আমি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি।’
এ ব্যাপারে ছাত্রলীগ নেতা ফেরদৌসের পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
তবে চিতলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এইচ এম কামরুজ্জামান খান জানান, চাঁদাবাজি ও মারপিটের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে, যার নং ১২।
খুলনা গেজেট/ এসজেড